মাস খানেক আগে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বাংলো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। আর সপ্তাহখানেক আগে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে দার্জিলিংয়ের সিংটাম চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোটি। এই অবস্থায় গরুমারার সব বনবাংলোগুলিতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা।সেই কারণে গত সেপ্টেম্বরে জঙ্গল খুললেও এখনও বন্ধ রয়েছে এই বাংলোগুলি, চলছে সংস্কারের কাজ। তবে ভরা পর্যটনের মরসুমে বনবাংলোগুলি বন্ধ থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, এর ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তা♈রা দ্রুত বনেবাংলোগুলি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে আগুন সিংটাম চꦿা বাগানে, পুড়ে ছাই শতাব্দী প্রাচীন ম্যানেজারের বাংলো
এখন ভরা পর্যটনের মরসুম চলছে। গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে গরুমারার সবকটি বনবাংলো। প্রথমে বর্ষার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল সেগুলি। তারপর উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন বনবাংলোগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সংস্কারের উপর জোর দিয়েছে বন বিভাগ। জানা গিয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল খোলা হয়। তারপরেও এই কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বনবাংলোগুলি। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভির জানান, বনবাংলোগুলির সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও হলং ব𒉰নবাংলোর অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি মাথায় রেখে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেই কারণে আপাতত বাংলোগুলি বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সেগুলি খুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অধীনে মোট সাতটি বনবাংলো রয়েছে। সেগুলি হল- মৌচুকি, গাছবাড়ি, কালীপুর, মূর্তি, পানঝোরা, রাইনো ক্যাম্প ও༒ হর্নবিল । এই বনবাংলোগুলিতে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। বহু মানুষ নিরিবিলিতে সাময়িক সময় কাটাতে ভালোবাসেন। তাদের জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা হল এই বনবাংলোগুলি। সেই কারণে বহু পর্যটক এই বনবাংলোগুলিতে সময় কাটাতে আসেন। তবে সেগুলি বন্ধ থাকায় পর্যটকরা ডুয়ার্সে সেভাবে আসছেন না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
এই অবস্থায় দ্রুত বনবাংলোগুলি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের বক্তব্য, অবিলম্বে বনবাংলোগুলি খুলে না দেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। কারণ এই বনবাংলোগুলিই এখানকার পর্যটকদের ꦅকাছে অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র।