কৃষ্ণনগরে মাছ ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃত𒐪দের নাম সৈকত হালদার, ও কুণাল হালদার ওরফে টুবাই। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ✨গভীর রাতে কৃষ্ণনগর শহরতলি থেকে এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। শনিবার ধৃত দুজনকে আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন - এবার নজরে ২০১৭ প্রাথমিক টেট, সমস্ত OMR শিট আদালতে পেশের নির্দেশ দিল হাই🐎কোর্ট
পড়তে থাকুন - মাগুর মাছ চাষ করতে তৈরি করেছিলেন সুড়ঙ্গ, নতুন তত্ত্ব খাড়𒀰া করল সাদ্💟দাম সরদার
কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা দুই ভাই সমীর ঘোষ এবং বিশ্বনাথ ঘোষ মাছের ব্যবসা করেন। কৃষ্ণনগর গোয়ারি বাজার থেকে মাছ কিনে পাত্র বাজারে বিক্রি করেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার ভোররাতেও তারা গোয়ারি বাজারের মাছের আড়তে মাছ কিনতে যান তাঁরা। অভিযোগ উঠে হঠাৎ ওই এলাকার কিছু নামজাদা দুষ্কৃতী কুণাল হালদার তাঁদের কাছে তোলা দাবি করেন। তোলা দিতে অস্বীকার করেন বিশ্বনাথবাবু। এর পর একটি পিস্তল বের করে ওই দুই মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে কুণাল হালদার নামে এক TMCP নেতা। একটি গুলি বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে লাগে। বিশ্বনাথকে বাঁচাতে গেলে সমীর ঘোষ কে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্ཧতু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তোলা দিতে অস্বীকার করায় শুক্রবার ভোরে ক🎃ৃষ্ণনগরের গোয়ারি বাজার এলাকায় বিশ্বনাথ ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কুণাল হালদার নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে।
বিশ্বনাথ ঘোষের পায়ে গুলি লেগে বিশ্🤪বনাথ ঘোষ মাটিতে পড়ে যান। এরপরেই বন্দুক দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। জানা যায় পরপর চার রাউন্ড গুলি করে অভিযুক্তরা। বিশ্বনাথবাবু ও তাঁর ভাইয়ের চিৎকার চেঁচামেচি এবং গুলির আওয়াজ এর ওই বাজারের অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বনাথ ঘোষ কে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।🀅 বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন বিশ্বনাথ ঘোষ।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে ওই দুই মাছ ব্যꦗবসায়ীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে পুলিশ এবং ঘটনার বিবরণ জানতে চায়। যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত আটক কিংবা গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - দফতরের গা ছাড়া মনোভাবেই মানিকচকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, দাবি সাব স্টেশনের অপারেট♏রের
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, আমাদের অভিযুক্তদের সঙ্গে পুরনো কোন শত্রুতা নেই। তবে যারা গুল♏ি চালিয়েছে তারা ওই এলাকার সমাজবিরোধী। ওরা টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে অস্বীকার করাতেই এই আক্রমণ করেছে। আমার এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ওরা প্রায় ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।