♓ সোনাপুর দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায় বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন বর্তমান বিধায়ক লাভলি মৈত্র। সেই সংক্রান্ত মামলায় জীবন মুখোপাধ্যায়কে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন পাঠাল বারুইপুর আদালত। গত ২৩ জুন জীবন মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, দুজনেই শাসক দলের নেতা ও নেত্রী। নজিরবিহীন এই ঘটনার জেরে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।
আরও পড়ুন: ♔বিজেপির ঘর ভাঙালেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দুকে
ꩵঘটনার সূত্রপাত হয় লাভলি মৈত্রকে সোনারপুর কলেজের পরিচালন সমিতির সভানেত্রী করা নিয়ে। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়। ২০১৯ সাল থেকে তিনি কলেজের সভাপতি পদে ছিলেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লাভলি মৈত্র সোনারপুর (দক্ষিণ) কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর ২০২২ সালে তাঁকে সোনারপুর কলেজের পরিচালক সমিতির সভানেত্রী পদে মনোনীত করা হয়। রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের অনুমোদনে তাঁকে সভানেত্রী করা হয়। এরপরে লাভলির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জীবন মুখোপাধ্যায়। এই প্রশ্ন তুলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন গত ডিসেম্বরে। তাঁর বক্তব্য ছিল, লাভলি মৈত্র একজন শিক্ষাবিদ নন। তাই তিনি কলেজের সভানেত্রী হওয়ার যোগ্য নন। তবে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর কলকাতা হাইকোর্ট জীবনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
ಞলাভলি মৈত্রর আইনজীবীর বক্তব্য, বর্তমান বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা হল স্নাতক। তাছাড়া তিনি একজন অভিনেত্রী। তাই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর সম্মানহানি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মামলা করার বিষয়টি সোনারপুর বিধানসভা এলাকাসহ নানান দফতরে তিনি প্রচার করে বেরিয়েছেন জীবন। হাইকোর্টে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ মানহানির মামলা দায়ের করেন লাভলি মৈত্র। বারুইপুর আদালত মামলাটি গ্রহণ করে প্রাক্তন বিধায়ককে সশরীরে হাজিরার জন্য সমন জারি করেছে। তবে আইনজীবী মারফত তিনি তাঁর বক্তব্য জানাতে পারবেন বলে আদালত জানিয়েছে।
🅰প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় পর থেকেএ জীবন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লাভলি মৈত্রররর ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। সে কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন লাভলি মৈত্র। তিনি বলেন, ‘আমাকে দল টিকিট দিয়েছিল। তাছাড়া পরিচালন সমিতির সভানেত্রী মনোনয়নের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের অধীনে ছিল জীবন বাবু আমার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক সম্মান নষ্ট করেছেন।’ যদি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘এটি বিচারাধীন বিষয়। তাই আমি এখন এ বিষয়ে কিছু বলব না। যা জানানোর আদালতকে জানাব।’