পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সভায় অনুপস্থিত চার বিধায়ক। আর এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে দেখা গিয়েছে নতুন জল্পনা। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে তৃণমূলের ‘গাঁয়ে চলো’ অভিযান সূচনা নিয়ে সাধারণ সভার আয়োজন করে জেলা তৃণমূল। সেখানেই গরহাজির ছিলেন রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরি❀য়া, পাড়ার বিধায়ক উমাপদ বাউরি ও বান্দোয়ানের বিꦿধায়ক রাজীবলোচন সরেন।
যদিও 🅰তাঁরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সভায় হাজির হতে পারেননি ওই চার বিধায়ক। তার পরও যেন জল্পনা থামতে চাইছে না। সম্প্রতি একের পর এক দলীয় সভায় হাজির না থেকে তৃণমূল ছেড়েছে একাধিক নেতা–বিধায়ক। তার মধ্যে রয়েছে শুভেন্🐭দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত, সুনীল মণ্ডলদের নাম। তাই পুরুলিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সভায় ৪ বিধায়কের গরহাজির থাকা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু। তাঁর কথায়, ‘ওই চার বিধায়ক আমাকে আগে থেকেই জানিয়েছেন যে তাঁরা সাধারণ সভায় থাকতে পারবেন না।’ দলের এক কর্মীর মৃত্যু হওয়ায় এদিন সেই কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। তিনি বলেন, ‘শুধু আমি নই, এলাকার অনেক কর্মীই এদিন ওই বৈঠকে যেতে পারেননি। আগে থেকে জেলা সভাপতিক♑ে তা জানিয়েছিলাম।’
এদিন পুরুলিয়া শহরেই ছিলেন কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পুরুলিয়ায় না যাওয়ায় কিছু কাজ বাকি পড়েছিল। এদিন জেলাশাসক ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সেই কাজগুলো সেরেছি।’ পাড়ার বিধায়ক উমাপদ বাউরির কথায়, ‘এলাকায় একটি বৈঠক ছিলাম। তাই সাধারণ সভায় যেতে পারিনি।’ অন্যদিকে, প্রশাসনিক কাজে কলকাতায় যাওღয়ার জেরে সভায় হাজির হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন।