হালকা পেট ভꦜরা এবং মুখরোচক খাবার হল ফুচকা। এই খাবার শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও বিক্রি হয় ভালই। এখন আবার বাহারি ফুচকা বিক্রি করার ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। এমনকী অনেক এলাকায় দেখা যায় সেখানকার বহু মানুষের পেশা ফুচকা বিক্রি করা। এবার নাদনঘাট এলাকায় ফুচকার ক্লাস্টার তৈরি করতে উদ্যোগী হলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুর ও সমুদ্রগড়ে ফুচকা বিক্রেতাদের নিয়ে দুটি সভাও করে ফেলেছেন মন্ত্রী। আর আজ, শুক্রবার থেকে জেলায় শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকারের শিবিরে ফুচকা বিক্রেতাদের ঋণের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? নাদনঘাট এলাকার ফুচকা খুব জনপ্রিয়। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ফুচকা বিক্রেতা তাঁদের অধিকাংশের রোজগার অত্যন্ত কম। আর রোজগার কম হওয়ায় সমাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারছেন না। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁদের জীবেনে। সামান্য পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা করলেও তাতে লাভ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। সেখানে একটু বেশি পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসায় নামলে তাতে লাভের মুখ দেখা সম্ভব। এই বিষয়টি জানতে পেরে ফুচকা বিক্রেতাদের নিয়ে সভা করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলে𝐆ন, ‘ফুচকা বিক্রেতাদের জন্য একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে।’
দুয়ারে সরকার শিবিরে কেমন সহায়তা মিলবে? এই ফুচকা তৈরি করার সরঞ্জাম আছে। যা কিনতে গেলে ভাল টাকা লাগে। তবে এবার এই সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবস্থা করা হবে ঋণের বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। সেখানে ফুচকা বিক্রেতাদের ঋণের জন্য আবেদন করতে পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। এক লক্ষ টাকা থেকে পাঁচ 🀅লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন ফুচকা বিক্রেতারা। এই ঋণ পেতে তাঁদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলে মন্ত্র𒐪ী স্বপন দেবনাথ জানান। তাই এখন খুশি ফুচকা বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট কিনেও হস্তান্তꦦর মিলছে না, অভিযোগের তদন্তে নেমে চক্রের হদিশ পেল এসিবি
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন নানা ধরণের ফুচকা🌞 খেয়ে মানুষজনের মুখের স্বাদে বদল এসেছে। বিষয়টি জানতে পেরে সভায় ফুচকা বিক্রেতাদের গতানুগতিক ফুচকার বদলে স্বাদে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শও দেন। তাতে রাজি আছে জেলার ফুচকা বিক্রেতারা। শুধু আলুসেদ্ধ আর তেঁতুলগোলা জলের ফুচকা একটা একরকমভাব ꦑমুখে এনে দিয়েছে। তাই ভিন্ন স্বাদ আনায় জোর দিতেও বলেছেন মন্ত্রী। ফুচকা বিক্রির সময় বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে গ্লাভস এবং অ্যাপ্রনের ব্যবহার করতে বলেন মন্ত্রী। এখন দেখার ফুচকা বিক্রেতারা ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাড়ান কিনা।