জার্মানিতে ইদানিং গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ড🍨িগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠছে৷ ফলে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একেবারে উঁচু তলায় থাকা বাসিন্দাদের কষ্ট হচ্ছে৷ এ থেকে তাদের মুক্তি দেওয়ার একটি উপায় বের করা হয়েছে৷
জার্মানির এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একেবারে উপরের তলায় থাকেন স্টেফানি মুলার⛄৷ তিনি বলেন, ‘আমার ফ্ল্যাটটা একেবারে ছাদের নিচে৷ মাঝেমধ্যে এখানে থাকা অসহ্য হয়ে ওঠে৷ ইদানিংবছরের বেশ কয়েকটা দিন তাপমাত্রা প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকছে৷ এই সময় ঘুমানো অসম্ভব৷’
তাঁর বাড়ির কাছে আধুনিক জিওথার্মাল হিটিং সিস্টেম বসানোর কাজ চলছে যেটা গ্রীষ্মে ঘর ঠান্ডা রাখবে৷ একটি মেশিন দিয়ে মাটির ১০০ মিটার গভীরে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে৷ সেখানে পাইপ বসিয়ে তার মধ্যে দিয়ে জ𝕴ল ও অ্যান্টিফ্রিজের মিশ্রণ ব্রাইন প্রবাহিত করা হবে৷ শীতের সময় বেসমেন্টে থাকা হিট পাম্প তরল থেকে তাপ উৎপাদন করে অ্যাপার্টমেন্টগুলো গরম রাখবে৷
প্রচলিত হিট পাম্পকে একটু উন্নত করা হয়েছে যেন গ্রীষ্মের সময় এটা ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহ💃ার করা যায়৷
ড্রেসডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী আন্দ্রে ক্রেমঙ্কে বলেন, ‘ঘরের ভেতরের চেয়ে মাটির নিচটা সবসময় ঠান্ডা৷ সে কারণে আমরা গ্রীষ্মের সময় পাইপ দিয়ে ব্রাইন সার্কুলেট করি৷ এটা মেঝে ঠাণ্ডা রাখে, আর বাড়ির তাপ বোরহোলে নিয়ে যাওয়া যায়৷ এই✱ তাপ শীতের জন্য সংগ্রহ করে রাখা যায়৷’
গ্রীষ্মের সময় যে তাপ জমা করে রাখা হয় তার কারণে, শীতের সময় প্রচলি♕ত ব্যবস্থার চেয়ে আরও কার্যকর উপায়ে পাম্প, ঘর গরম রাখতে পারে৷
𒆙হিট পাম্প আর বেসমেন্টে পাইপ বসানো ছাড়া পুরনো পদ্ধতিতে আর কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই৷
এতে অনেক অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানান লাইপজিগ হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের বেলা হামবুখ৷ প্রায় ১০০ ফ্ল্যাট আছে এমন এক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে তিনি নতুন সিস্টেম বসিয়ꩵেছেন৷ খরচ হয়েছে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে তিনি ফলাফল নিয়ে খুশি৷
হামবুখ বলেন, ‘হিটিংয়ের খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশা করꦯছি৷ ভাড়াটিয়ারাও গ্রীষ্মে ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন৷’
মুলার তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের জন্য একটি নতুন র🥂েডিয়েটর পেয়েছেন৷ গরমের সময় তিনি সেটা ঠান্ডা মুডে দিয়ে রাখেন৷ সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেয় রেডিয়েটর৷ সিস্টেমটি ভালোভাবেই কাজ করছে বলে জানান🅠 তিনি৷ মুলার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে গ্রীষ্মে সিস্টেমটা ভালোই কাজ করেছে৷ রেডিয়েটর সেট করার পর মনে হয়েছে, ঘর ঠান্ডা হয়েছে৷ ঘরে থাকতে আরাম লাগছে৷’
আন্দ্রে ক্রেমঙ্কে বলছেন, গরমের সময় যেখানেই মানুষ কষ্ট পান, সেখানে🌟ই এই সিস্টেম বসানো যেতে পারে৷