✱বাবার স্বপ্ন ছিল কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট কেনা। সেইমতো রিয়াল এস্টেট সংস্থাকে তিনি টাকাও দিয়েছিলেন। তারপরেও ফ্লাট পেলেন না বাবা। ক্রমেই বাবাকে ভেঙে পড়তে দেখে এর প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জাহিন বিলকিস। চিঠি পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন।
মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সেখানকার একটি কলেজে গ্রাজুয়েট হয়ে এসেছিলেন কলকাতায়। স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে তিনি কলকাতাতেই থাকতে চেয়েছিলেন। সেই কার💞ণে এন্টালি থানা এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য রিয়াল এস্টেট সংস্থাকে সারা জীবনের সঞ্চয় করা টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও তাকে ফ্ল্যাট দেয়নি ওই সংস্থা। ফ্ল্যাট না পেয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বাবাকে ভেঙে পড়তে দেখে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী কিছুদিন আগেই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেন। সেই চিঠি যায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে। সেখানকার আধিকারিকরা এন্টালি থানাকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্দেশ পাওয়ার পরেই পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।
নবান্ন সূ✤ত্রের খবর, ২০২০ সালে ওই এলাকায় ৬৫০ বর্গফুটের ফ্লাটের জন্য প্রোমোটারকে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও রফিকুলকে কোনও ফ্ল্যাট দেয়নি ওই সংস্থা। এর জন্য সংস্থা উপযুক্ত কোনও কারণও দেখায়নি বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই ছাত্রী এবং তার পরিবার।
প্রশাসনিক কর্তার𝕴া জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত এই সেলে ১১ লক্ষেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তার নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।