গরমের ছুটি পড়েছে। তাই ভ্রমণপিপাসুরা উত্তরবঙ্গে ছুটছেন। কিন্তু ট্রেনের টিকিট𓆏 মিলছে না। হোটেল–রিসর্টে জায়গা নেই। পাহাড়ের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ডুয়ার্সেও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বক্সা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন্ধ হতে চলেছে বেআইনিভাবে চলা সব হোটেল, রিসর্ট, রেস্তোরাঁ এবং পর্যটন কেন্দ্র। তাও আগামী দু’মাসের মধ্যে। কারণ সেগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। ডুয়ার্সের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বেআইনিভাবে চলছে হোটেল, রিসর্ট, রেস্তরাঁ বলে অভিযোগ।
ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? পরিবেশবিদদের দায়ে♛র করা মামলার প্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। গত ৩০ মে নির্দেশে সাফ জানানো হয়েছে, বক্সা জাতীয় উদ্যানের এক কিলোমিটারের মধ্যে গজিয়ে ওঠা যাবতীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ঝাঁপ ফেলতে হবে। সরকারি পর্যটন কেন্দ্র পর্যন্ত রাখা যাবে না। সেগুলি সরকারি প্রশিক্ষণের কাজে লাগানো যেতে পারে। না হলে ভেঙে ফেলতে হবে। লৈতি নদীর ১০০ মিটারের মধ্যে চলা স্টোর ক্র্যাশারও বন্ধ করতে হবে।
কীভাবে চলছে হোটেল–রিসর্টগুলি? বাꦍস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিস্মিত ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তাদের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ💖 পর্ষদের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে হোটেল–রেস্তোরাঁগুলি। এই নিয়ে অভিযোগ আনেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। মহানন্দা, জয়ন্তী, মেচি, মালের মতো নদীগুলির বুক থেকে কীভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে পাথর তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যবসা হচ্ছে, পরিবেশে ভয়ঙ্কর দূষণ ঘটানো হচ্ছে—চোখে আঙুল দিয়ে দেখান তিনি। সংরক্ষিত অরণ্যাঞ্চলের মধ্যে ও আশেপাশে বেআইনি পর্যটন ব্যবসার রমরমা কারবার নিয়েও সরব হন তিনি। অরণ্যের ‘কোর এরিয়া’য়, হোটেল, রেস্তরাঁ বানিয়ে ফেলেছে বেসরকারি সংস্থা। নদীর পাড়ে ꦦ🌞চলছে খাটাল, শুয়োরের খোঁয়াড়। যথেচ্ছ প্লাস্টিক, আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীগুলিতে।
কী আছে এই বনাঞ্চলে? এখানে বেসরকারি উদ্যোগে ৬৯টি এবং সরকারি পরিচালনায় ২০টি পর্যটন কেন্দ্র চলছে। তাও আবার কোর এলাকায়। ট্রাইব্যুꦬনাল কোর এলাকার সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু, তারপরও চালু রয়েছে বলে অভিযোগ। এখানের আদিবাসীদের ৩৭টি গ্🔯রামকে ‘রেভিনিউ ভিলেজ’ স্বীকৃতি দেয় রাজ্য। এই বিষয়ে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চায় ট্রাইব্যুনাল। রাজ্য জানায়, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য চিরাচরিত বনবাসী আইন অনুযায়ী এই বদল আনা হয়েছে। তাই কেন্দ্রের অনুমতির দরকার নেই। তখনই ছয় সদস্যের ট্রাইব্যুনাল জানায়, রেভিনিউ ভিলেজে রূপান্তরিত হলেও সংরক্ষিত অরণ্যাঞ্চলের মধ্যে কোনওরকম বাণিজ্যিক কাজ চলবে না।