ঝড়-বৃষ্টি যে হতে পারে, সেটার পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু সেটা যে এতটা বিধ্বংসী হবে, তা ধারণার বাইরে ছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে যা ছবি দেখেছেন, তাতে অনুমান করা হচ্ছে যে একটি ছোট এলাকার মধ্যে ঝড়ের ব্যাপকতা বেশি ছিল। ওই এলাকায় ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। তৈরি হয়েছিল মিনি টর্নেডোর মতো পরিস্থিতি। তার জেরেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির একাংশ। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে এখনও পুরোপুরি বিপদ কেটে যায়নি। ন♛েপাল থেকে আসা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মেঘের কারণে আরও ঘণ্টাখানেক জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায় ঝ💙ড়-বৃষ্টি চলবে। তবে বিকেলে যেরকম তাণ্ডব চলেছে, সেরকম হবে না। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০-৫০ কিমি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
রবিবার বিকেলের দিকেও সেরকমই ঝড়-বৃষ্টি হবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল। দুপুর ৩ টে ২ মিনিটে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল যে পরবর্তী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং,ꦰ জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। যে বেগে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন ঝড় উঠেছে। সেক্ষেত্রে কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ির কয়েকটি অংশে প্রবল বেগে ঝড় ওঠে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ময়নাগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন কয়েকটি জায়গা। শিলাবৃষ্টিও হয়। সেই ঘটনায় এক মহিলা-সহ কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়ে♍ছে। আহতে হয়েছেন ১০০-র বেশি মানুষ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু'জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। একজনের বাড়ি গোসালা মোড়ে। আর অপরজন সেনপাড়ার বাসিন্দা।
আর সেই ঘটনার পরে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন যে বিহার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত থাকায় এবং উত্তরবঙ্গের দিকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প যেতে থাকায় উত্তরবঙ্গের ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু কোনও কোনও জায়গায় ঝড়ের বেগ দ্বিগুণেরও বেশি হবে, সেটা অনুমান করা যা𓄧য়নি (ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল)।
তিনি জানিয়েꦚছেন, আপাতত তিনি যা ছবি দেখেছেন, তা থেকে মনে হচ্ছে যে একটি ছোট জায়গায় ঝড়ের দাপট বেশি ছিল (জলপাইগুড়ি মূল শহরের বাইরে এবং ময়নাগুড়ির একাংশে)। সেই এলাকায় বৃষ্টি খুব বেশি না হলেও মিনি টর্নেডোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল (ময়নাগুড়ির বার্নিশে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবথেকে বেশি ছিল)। আর ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তার ফলে এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এখনও ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা আছে
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন যে নেপাল থেকে মেঘ আসছে।🐎 সেটার কারণে আরও কিছুক্ষণ ঝড়-বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায়। রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে পরবর্তী দুই থেকে তিন ঘণ্টা ওই পাঁচটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝো🍨ড়ো হাওয়া বইবে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Storm: কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি, একাধিক মৃত্যু, শোকবা⛎র্তꦓা মমতার