ঝুলছিল যুবকের নিথর দেহ। নাম প্রবীর সিংহ রায়। এনিয়ে ওই পরিবারে অন্তত চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হল। এদিকে মৃতের পকেট থেক⛎ে একটি চিরকুট পাওয়া গিয়েছে। সেই চিরকুটে বিস্ফোরক কথা লেখা রয়েছে। নদিয়ার করিমপুর থানার আনন্দপল্লি এলাকায় ওই যুব🐬কের বাড়ি। ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ মিলেছে।
এদিকে এই মৃত্যুকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই পরিবারের একের পর এক সদস্যের এর আগে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এবার মাত্র ৩০ বছর বয়সে চলে গেলেন প্রবীর নামে ওই যুবক। এদিকে সুইসাইড নোটে যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। একের পর এক ঘটনায় এভাবে পরিবারের একের পর এক সদস্যের মৃত্য়ুর ঘটনཧাক ঘিরে এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য হিসাবে নিজের মাকে দায়ী করা হয়েছে। এমনকী বাবার নিখোঁজের জন্যও সে মাকে দায়ী করেছে। চিরকুটে এমনটাই লেখা রয়েছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে এই সুইসাইড নোটটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এই সুইসাইড নোটটি আদৌ ওই যুবকের লেখা কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাকি বাইরে থেকে পরিকল্পিতভাবে তার🅠 পকেটে ওই নোটটি রেখে দেওয়া হয়েছিল সেটা দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, প্রবীরের অন্যান্য ভাইবোনেদেরও এইভাবেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। এক বোনের দেহ এভাবেইཧ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সন্দেহ করা হয় তিনিও আত্মহত্যা করেছিলেন। অপর এক বোনের অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরেও রহস্য দানা বেঁধেছিল। পরে এনিয়ে এলাকায় যথেষ্ট শোরগোল পড়েছিল।
এদিকে অদ্ভূতভাবে প্রবীরের দাদাও দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। প্রায় বছর পাঁচেক ধꦏরে তার কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরে অবশ্য় তিনি ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে আসার কিছুদিনের মধ্যেই গাড়়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। তবে এই দুর্ঘটনাকে ঘিরেও এলাকায় যথেষ্ট চর্চা রয়েছে। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রবীরে দেহ মিলেছে। গোটা ঘটনায় রহস্য় চরমে উঠেছে।
এদ🦩িকে এই মৃত্যুকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বাস্তবে সুইসাইড নোটটি কার লেখা তা নিয়েও সংশয়। এর সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে তিনি মাকে কেন দায়ী করলেন? একের পর এক মৃত্যুর সঙ্গে মায়ের যোগ কতটা ছিল? তবে কি দাম্পত্য কলহের জেরে তার বাবা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন?প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।