রাজ্য–রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে হট টপিক সন্দেশখালি। কারণ ওখানকার গ্রামꦦবাসী এবং বিশেষ করে মহিলারা ক্ষেপে উঠেছেন। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা গ্রেফতার হয়েছে। সিপিএমের এক প্রাক্তন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। বিজেপির এক শীর্ষনেতাও পুলিশের হাতে জমা। ১৪৪ ধারা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ রয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি ওখানে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তার জন্য সন্দেশখালির রাস্তায় এখন পুলিশের পাহা𓄧রা। সূত্রের খবর, এই আবহে পুলিশকর্মীদের থাকার জন্য থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তিনটি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি রাধারানি হাইস্কুল। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই স্কুলেই শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা। এই স্কুলে কেন্দ্র হচ্ছে। সেখানে এত পুলিশ থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না শিক্ষকরা।
এদিকে পরীক্ষার্থীরা এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। এই আবহে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দী༺প বর্মণ বলেছেন, ‘সামনে সরস্বতী পুজো। তার একদিন পরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। কেমন করে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করার কাজ শেষ হবে এবং ৭২০ জন পরীক্ষার্থী এখানে এসে ব🔴সে পরীক্ষা দেবে জানি না। সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল পুলিশ থাকার জেরে।’ স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পুলিশ–প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও আশ্বাস পাচ্ছেন না। বিডিও (সন্দেশখালি ২) অরুণকুমার সামন্ত বলেন, ‘পরীক্ষার আগে আশা করা যাচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
অন্যদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, এখন পুলিশ এখানে থাকায় বেঞ্চগুলি সব আদৌ ঠিক থাকবে কি না বোঝা যাচ্ছে না। আজ, রবিবারের মধ্যে স্কুল পরিষ্কারের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি সে সব হবে বলে মনে হয় না। আর কিছু করাও যাচ্ছে না। তবে গতকাল শনিবার স্কুলে গিয়ে দেখা মিলল, শুধুই পুলিশের আনাগোনা। সূত্রের খবর, এখানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ‘সিট’ পড়েছে আশপাশের পাঁচটি স্কুলের। এই স্কুলে সেরে ফেলা হয়েছিল বেঞ্চ সাজানোর কাজ। স্কুল পরিষ্কার করার কাজ বাকি ছিল। অশান্🗹তির জেরে স্কুলটি শুক্রবার এবং শনিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ পুলিশকর্মীদের রাখার জন্য স্কুল খুলে দিতে হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে স্কুলকে কোনও লিখিত আবেদন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ত্রিবেণীতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেড় দিনꦇের কুম্ভমেলা, শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মি༺লল
এছাড়া মেয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। ওই পরিবারের দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে মেয়েটির বাবা বাড়িছাড়া। বাড়িতে মেয়েটির মা একা রয়েছেন। রাধারানি হাইস্কুলের ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে জেলিয়াখালির স্কুলে। তাঁর মায়ের কথায়, ‘বাড়ির দু’জন গ্রেফতার। স্বামী অন্যত্র চলে গিয়েছেন। পুলিশ রাতে বাড়িতে এসে দরজা ধাক্কা দিচ্ছে। মেয়েকে ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছি। মেয়ের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। দুটো নদ🦩ী পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যেতে হবꦕে।’ এখানকার মোট ১৪২৩ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।