শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকার সত্ত্বেও অসুস্থ শিশুকে ফিরিয়ে দিয়েছিল হাসপাতাল, কিন্তু যখন ভরতি নেওয়া হল, তখন আর শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল ইসলামপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইস𒉰লামপুর হাসপাতাল চত্বরে। শিশুটির দেহ ওই হাসপাতালের সামনে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশ🎃ুর নাম খুশি বেগম(৭)। বাড়ি ইসলামপুর থানার ঘোড়ামা🐓রা এলাকায়।
পরিবা🍬র সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই শিশুকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ইসলামপুর হাসপাতালে ভরতি করতে এনেছিলেন বাড়ির লোকেরা। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুটিকে ভরতি নেয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, বারবার বলার সত্ত্বেও তাকে ভরতি নেওয়া হয়নি। উল্টে চিকিৎসকরা ওই শিশুর পরিবারকে বলেন, ‘আপনারা বাড়ি𝄹 নিয়ে যান ওষুধপত্র খাওয়ান ঠিক হয়ে যাবে।’ পরে নিরুপায় হয়ে তাঁরা শিশুটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
কিন্তু রবিবার সকালে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে ফের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুꦿটি কে হাসপা🐬তালে ভরতি করে নেন। কিন্তু ভরতি হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। মৃত শিশুর কাকা ও আত্মীয়দের অভিযোগ, সঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা হত তাহলে, শিশুটিকে এভাবে প্রাণ হারাতে হত না।
এই ঘটনার জন্য শিশুর পরিবꦺারের তরফে হাসপাতালের এক চিকিৎসককে দায়ী করা হয়। দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।একই দাবি তুলেছেন ইসলামপুরের একটি সামাজিক সংগঠনের কর্তা মহম্মদ মসিবুর আলম ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন এই ঘটনা ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ইতিমধ্যে ইসলামপুর থানায় ও হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর পরিবার।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।