রেখা পাত্র ‘হেরো মাল’ হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন ‘হেরো ড্যাশ’। এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। নিজেকে 'ভদ্রবাড়ির' ছেলে হিসেবে দাবি করে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আপনার বোনকে মাল বলেছে না? দলিত বোনকে? মাল বলেছে। হেরো মাল। আমার মুখে আসবে ♈না। বসিরহাটে রেখা পাত্র যদি হেরো মাল হয়, তাহলে নন্দীগ্রামের হেরো ড্যাশ কে? আমার মুখ থেকে তো আসবে না। ভদ্রবাড়ির ছেলে। আসবে না।’ সেইসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেন, যাঁরা তাঁর বাবা তুলে কথা বলছেন, তাঁরা আদতে শিশির অধিকারীর পায়েরও যোগ্য নন।
তালড্যাংরা বিধানসভার উপ-নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তীর সমর্থনের প্রচারের মধ্যেই ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করে সেই মন্তব্য করেন শুভেন্দু। দিনকয়েক আগে অভিযোগ ওঠে যে হাড়োয়ায় প্রচারে গিয়ে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ‘হেরো মাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নꦯেতা ফিরহাদ।
‘হেরো মাল’ ন, রেখাকে ‘ভদ্রমহিলা’ বলেছেন, দাবি ফিরহাদের
যদিও ফিরহাদ দাবি করেন যে তিনি রেখাকে ‘হেরো🅺 মাল’ বলেননি। বরং বিজেপিকে ‘হেরো ভূত’ এবং ‘হেরো মাল’ বলে সম্বোধন করেছেন। রেখাকে বরং ‘ভদ্রমহিলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে দাবি করেন ফিরহাদ। তিনি দাবি করেন, যখনই মহিলাদের বিষয়ে কথা বলেন, তখন তাঁদের সম্মান প্রদান করেন। সেটা আজকের বিষয় নয়। বরাবরই সেই কাজটা করে আসেন। মেয়েদের বরাবরই মাতৃরূপে এবং মায়ের চোখে দেখে এসেছেন।
মেয়েদের সম্মান করেন বলেই পুজো করেন, দাবি ফিরহাদের
তিনি আরও দাবি করেছেন, রেখাকে ভদ্রꦜমহিলা বলে উল্লেখ করেছেন। বিজেপিকে বলা 'হেরো মাল' কথায় যদ💟ি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, সেজন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে তিনি কখনও মহিলাদের অপমান বা অসম্মান করতে পারেন না। তাঁর দলের প্রধান হলেন একজন মহিলা। তাঁর মা এবং স্ত্রী আছেন। মেয়ে এবং নাতনি আছে। মেয়েদের সম্মান করেন বলেই দুর্গাপুজো এবং কালীপুজো করেন বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ।
নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছিলেন মমতা
যদিও সেই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ শুভেন্দুরা। বরং পালটা মমতাকে কটাক্ষ করেছেন। যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছিলেন। মমতা বিধানসভা নির্বাচন🍬ে ভবানীপুর থেকে লড়াই করতেন। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন। সামান্য ভোটে হেরে গেলেও রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা আসল কাজটা করে দিয়েছিলেন। জনমানসে বার্তা দিয়েছিলেন যে🃏 শত্রুর ডেরায় গিয়ে লড়তে পারেন।