করোনা টিকা দেওয়ার নাম করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর তারপরে করা হচ্ছে নির্বীজকরণ। সম্প্রতি এমনই একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছেন নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি না নিয়🌠ে কীভাবে নির্বীজকরণ করা হচ্ছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে এ নিয়ে শান্তিপুর থানায় একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকারি পরিষেবা দেওয়ার নাম করে এর আগে একাধিক প্রতারণার অ🐽ভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, এই ধরনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো জনমানসে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে বন্🦄ধ্যাত্বকরণ করাতে এসে ༒মহিলার মৃত্যু, বিক্ষোভ
জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের রায়পাড়া এলাকার মাধব দেবনাথ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি এই ঘটনার স্বীকার। তিনি মুম্বইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। কালীপুজোর সময় বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় আশাকর্মীরা তার বাড়িতে আসে এবং জানায় যে তার একটি করোনা টিকা বাকি রয়েছে। তাই বাকি টিকা নিতে হবে। এর জন্য ওই পরিযায়ী শ্রমিককে নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে বলেন আশাকর্মী। সেই মতো সেখানে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই প্রথমে তাকে ইঞ্জেক্সন দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়। এরপর তার এনএসবি অপারেশন করা হয়। এরপর তাকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। জানা গিয়েছে, মাধবের স্ত্রীর আগেই নির্বীজকরণ হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কী কারণে তার নির্বীজকরণ করা হল? তাছাড়া কেনই বা তাকে না জানিয়ে এরকম করা হল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনাযꦍ় মাধবের পরিবার শ🃏ান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শুধু মাধবই নন, আরও অনেকেই এরকমভাবে প্রতারণা শিকার হয়েছেন। খোকন দেবনাথ নামে ৬২ বছরের এক ব্যক্তিরও এইভাবে নির্বীজকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিঃসন্তান। ৪০ বছরের বিবাহিত জীবনে কোনও সন্তান নেই তার। তা সত্🗹ত্বেও ওই ব্যক্তিকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে নির্বেজকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির পরিবারও এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণের জন্যই নাকি এরকম ভাবে না জানিয়ে কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে নির্বীজকরণ করা হচ্ছে। যদিও আশাকর্মীর দাবি, এসব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। তার সিনিয়াররা এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে বলতে পারবেন। অন্যদিকে, এ বিষয়ে নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রামীণ হাসপাতাল হাসপাতালকে ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কী লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যই যাকে তাকে ধরে এভাবে নির্বীজকরণ করা হচ্ছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই ধরনের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। আবার নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন একটা টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে।