এর আগে মিড ডে মিলে আরশোলা, টিকটিকি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার মিডৃডে মিলে মিলল আস্ত বিছে। এমনকী অভিযোগ উঠেছে বিছে সহ সেই খাবার পড়ুয়াদের পরিবেশনও করা হয়। মিড ডে 🌠মিল খেতে গিয়ে সেই বিছে চোখে পড়ে পড়ুয়াদের। এরপরই একেবারে তুলকালাম কাণ্ড। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠের ঘটনা। এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়।
এদিকে পড়ুয়াদের দাবি, অন্যান্যদিনের মতোই পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। কিন্তু খেতে গিয়েই বিপত্তি। এক পড়ুয়া দেখে যে ভাতের মধ্য়ে পড়ে রয়েছে একটি বিছে। এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই স্কুল শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না জাꦕনানোর জন্য বলেছিলেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। এরপরই এলাকার লোকজন এলাকায় চলে আসেন।
শিউলি বিশ্বাস 𓄧নামে এক ছাত্রী বলে, আমাদের খেতে দিয়েছিল। আমরা দেখলাম পাতে একটা পোকা পড়ে রয়েছে স্যারকে বললাম। স্যার বলল কাউকে বলার দরকার নেই। তবে ফাইভ সিক্সের ওরা সব খেয়ে নিয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, বাচ্চাদের পাতে পোকা পড়েছিল বলে আমাকে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছিলাম যে স্কুলের ব্যাপারটা আলাদা। পঞ্চায়েতের ব্যাপারটা পুরো আলাদা। আমরা তো ওদের🧔 ব্যাপার নিয়ে কিছু করতে পারি না।
এক অভিভাবক বলেন, মিড ডে মিলে বিছে ছিল। এরপর স্যারকে গিয়ে ছাত্রীরা বলেন। আর স্যার বলেছেন বিছেটা সরিয়ে দিয়ে বাকিটা খেয়ে নে। আ🀅মরা সকলকে জানিয়েছি। হেড মাস্টার স্কুলে ছুটি দিয়ে চলে গিয়েছেন। সব মহলকে꧅ জানিয়েছি। আমরা চাইছি এর বিচার হোক। এভাবে যদি খাবারে বিছে পড়ে তাহলে তো মহা ঝামেলার ব্যাপার।
বাসিন্দাদের প্রশ্ন, শিশুদের খাবার পরিবেশন করার সময় তাতে বিছে নাকি টিকটিকি কী রয়েছে সেটা না দেখেই কেন খাবার পরিবেশন করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে ছাত্রীরা ও অভিভাবকরা যে প্রসঙ্গ তুলেছেন তা আরও ভয়াবহ। তাদের দাবি স্কুলের স্য়ার বলেছিলেন বিছেটা ফেলে দিয়ে বাকি ভাতটা খেয়ে ൲নে। এখানেই প্রশ্ন কেন এত অবহেলা? কীসের জন্য় এই ধরনের অবহেলা করা হচ্ছে?
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার প্রশ্নের মুখে বাংলার স্কুলের মিড-ডে মিল ব্যবস্থা। কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও একটু সতর্ক হল ন🌌া সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে স্কু♏লের কোনও বক্তব্য মেলেনি।