ত্রিকোণ প্রেমের জেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রথম প্রেমিক বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃত প্রেমিকের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। আজ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার কালানাগীন কদমবস্তি এলাকায়। মৃত ওই প্রেমিক যুবকের নাম অচিন্ত্য মজুমদার (২০)। বাড়ি ইসলামপুর থানার দাড়িভিটের কালীনগর এলাকায়। প্রেমিকা ♛অন্য এক যুবকের সম্পর্কে জড়ানোয় অশান্তি চলছিল দু’জনের মধ্যে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করার জেরে প্রেমিকার পরিবার অচিন্ত্যকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আর সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন প্রেমিক অচিন্ত্য বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অচিন্ত্য মজুমদার এবং পূর্ণিমা সরকারের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে প্রণয় চলছিল। তখন থেকেই প্রেমিকার যাবতীয় খরচ বহন করছিলেন প্রেমিক অচিন্ত্য মজুমদার। শুরুতে সব ঠিকঠাক চলছিল। এবার পূর্ণিমার জীবনে আর একটি যুবক আসে। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। গত মঙ্গলবার সকালে অচিন্ত্য মজুমদারকে ফোন করে ডেকে পাঠান ওই যুবতী। আর দ্বিতীয় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে প্রথম প্রেমিক অচিন্ত্যকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এটাই সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে এসে বিষ খেয়ে নেয় যুবক অচিন্ত্য। তৎক্ষণাৎ পরিবারের সদস্যরা অচিন্ত্য মজুমদাꦅরকে অসুস্থ অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের ছাত্রীকে দিয়ে জুতো পরিষ্কার শিক্ষিকার, লস্করপুরে অভিভাবকদের ঘেরাও
পরিবার সূত্রে খবর, অচিন্ত্যর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ইসলামপুর থেকে সোজা শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আজ শনিবার মৃত্যু হয় যুবক অচিন্ত্যর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ🐷 দেখাতে শুরু করেন মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা হাজির হলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে দাঁড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ওই প্রেমিকার মাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আর ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এছাড়া অচিন্ত্য শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার যুবতীর মা মেয়ের পুরনো প্রেমিক অচিন্ত্য এবং নতুন প্রেমিক অলোক বালাকে বাড়িতে ডেকে পাঠান। অভিযোগ, অচিন্ত্যকে তাঁর মেয়ের জীবন থেকে সারাজীবনের জন্য চলে যেতে বলেছিলেন তিনি। তখন বাকবিতণ্ডা শুরু হয় অচিন্ত্যর সঙ্গে প্রেমিকার মায়ের। অচিন্ত্যকে ওই পরিস্থিতিতে সকলে মিলে মারধর করে বলেও অভিযোগ। অপমানিত অচিন্ত্য বাড়ি ফিরে বিষ পান করেন। যুবতীর মাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন মৃত যুবকের মা। কান্নায় ভেঙে পড়েন মা সবিতা মজুমদার। আর বলেন, ‘মেয়েদের জন্য রাস্তা𒉰য় নেমꦇে প্রতিবাদ হলে, ছেলের জন্য হবে না কেন?’