লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। মাদারিহাট উꦅপনির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন তিনি। আর ভোটপ্রচারে সেখানে গিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব যা 🐷বললেন, তাতে তো সবার মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। গৌতমবাবুর দাবি, ‘তৃণমূলেই ছিলেন জন বারলা’। গৌতম দেবের এই বক্তব্যের ২ রকম মানে খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।
মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে শন🍒িবার বানারহাটে প্রচার করেন গৌতমবাবু। তখনই জন বারলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ও তো তৃণমূলেই ছিল। যেদিন কলকাতায় জয়েন করেছিল আমি তো ছিলাম। ও একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ও বোঝে কার হাত ধরে উন্💛নয়ন সম্ভব। ’
গৌতম দেবের মন্তব্যকে গুর🅠ুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের দাবি, বিজেপির টিকিটে সাংসদ ছিলেন জন বারলা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ꦛছিলেন তিনি। তাহলে তিনি তৃণমূলে থাকেন কী করে?
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে গৌতম দেবের মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেয়েও কাজ করতে না পারায় জন বারলাকে এবার আর প্রার্থীপদ দেয়নি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে জন বারলা কাজ করতে পারেননি, না তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে পরিকল্পিতভাবে নিষ্ক✤্রিয় থেকেছেন? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপি বারলাকে সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে গেরুয়া রাজনীতিতে বারলার কার্যত আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। আজ না-হয় কাল তৃণমূলে যেতেই হবে তাঁকে।
গত কয়েকদিনে একাধিক তৃণ꧃মূল নেতার সঙ্গে জন বারলার সাক্ষাৎ হয়েছে। মাদাহারিহাটের তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে বারলার তৃণমূলে যোগদা🅠নের পথ পরিষ্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই কি হবে দলবদল, তা নিয়েও চলছে জল্পনা।