দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তিনি মন্তব্য করেছেন, দুর্গাপুজো দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোকে সর্বজনীন করেছেন। বীরভূমের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করতে শোনা যায় কাজল শেখকে। এই মন্তব্𝐆য সাম𒁏নে আসতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘শুধরে যান, না হলে কাজল–ঝড় উঠবে’, বিশ্বভারতীরꦑ উপাচার্যকে হুঁশিয়ার🤡ি নেতার
প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপূজো শেষ হতেই জেলায় জেলায় চলছে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী কর্মসূচি। বীরভূমেও তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। শনিবার তৃণমূলের তরফ থেকে বীরভূমে তিনটি জায়গায় বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। সেগুলি হল ময়ূরেশ্বর ১ ও ২ নম্বর ব্লক এবং নানুরে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ব্লকের সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও ছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ। অন্যদিকে, নানুরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূ🐠লের সভাধিপতি কাজল শেখ।
এছাড়াও ছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং দলের অন্যান্য নেতারা। এই সভা থেকেই দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, ‘কোভিডের সময় ক্লাবগুলির কাছে পয়সা ছিল না। অনেকের এরফলে পুজো করার মতো সামর্থ্য ছিল না। সেই আর্থিক সংকটের সমযꦅ় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক হয়ে অনুদানের কথা ভেবেছিলেন।’ কাজল শেখ বীরভূমের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘এবছর বীরভূমে ২ হাজারের বেশি দুর্গাপুজো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাব পিছু ৮৫ হাজার📖 টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। সেই হিসেবে কয়েক কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ এর পরেই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আগে দুর্গাপুজোর সর্বজনীন ছিল না তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গাপুজো সর্বজনীন হয়েছে।’
কাজল শেখের এই মন্তব্য সামনে আসতেই তীব্র সমালোচনায় স্বরূপ হয়েছে বিজেপি।এপ্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভ🐷াপতি অষ্টম মণ্ডল বলেন, উনি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কতটা জানেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে মা দুর্গাকে নিয়ে তিনি ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। এরকম মন্তব্য করা একেবারেই ঠিক নয়।
অন্যদিকে, এদিনের বিজয়া সম্মেলনীর সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল এবং কা🌱জল শেখ দুজনেই একসঙꦐ্গে কাজ করার বার্তা দেন।এদিনের দুটি সভাতেই একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ। কাজল শেখও স্পষ্ট করেন, যে বীরভূমে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।