শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় শাসকদল তৃণমূল। একদিকে যেমন শিক্ষক নিয়োগের বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ꦉার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তেমনই প্রশ্ন উঠেছে দিনের পর দিন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কী পড়িয়েছেন এই শিক্ষকরা? এরই মধ্যে সরকারি স্কুলের পঠনপাঠনের মান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কালনা পুরসভার তৃণমূলি পুরপ্রধান। তাঁর দাবি, বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা বেশি স্মার্ট। আর নিজের বক্তব্য প্রমাণ করতে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরলেন ছেলেকে।
গত ২৬ অক্টোবর কালনায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন স্থানীয় পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত। সেখানেই বেসরকারি স্কুলের মহিমাকীর্তন করতে গিয়ে সরকারি স্কুলকে ছোট ক✅রেন তিনি। আনন্দবাবু বলেন, ‘আমার ছেলে বেসরকারি স্কুলে পড়ে। তার স্মার্টনেস দেখলে কালনা রাজ স্কুল লজ্জা পেয়ে যাবে। কালনার অন্যান্য সরকারি স্কুলগুলো লজ্জা পেয়ে যাবে। সত্যিই তো তাই, স্মার্টনেসই প্রথম দরকার।’ পুরপ্রধান যখন এসব বলছেন তখন মঞ্চে বসে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ, পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।
পুরপ্রধানের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিধায়ক দেবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘উনি ওনার মত বলেছেন। আমার মত আলাদা। সরকারি সꦬ্𓆉কুলই এখনও সেরা।’
পুরপ্রধানের মন্তব্যেকে সিপিএমের তরফে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক সিপিএম নেতা বলেন, ‘বাম জমানায় সরকারি স্কুলগুলো এলাকার গর্ব ছিল। তৃণমূল সরকার ক🉐্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষায় সামগ্রিক অধঃপতন হয়েছে। টাকার বিনিময়ে যারা শিক্ষক নিয়োগ করে তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। রাজ্যে শিক্ষার মান পুনরুদ্ধার করতে গেলে এই সরকা𝓀রকে সবার আগে বিসর্জন দিতে হবে।’