এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি দাবি করেন ২০১৯ সালে নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডলক🍃ে তৃণমূলে যোগদান করাতে নিজে হাতে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে কানাইবাবুকে দেওয়া হয়েছিল একটি স্করপিও গাড়ি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কানাই মণ্ডল।
২০১৯ ဣসালে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের জমানায় দলবদল করেন কানাইবাবু। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন নবগ্রামের ৩ বারের বিধায়ক। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন কানাই মণ্ডল। মঙ্গলবার সাগরদিঘির মঞ্চ থ✅েকে কানাইবাবুকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দুবাবু।
তিনি বলেন, ‘কানাই মণ্ডলকে বলব, আপনি আমার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এনায়েতের কাছ থেকে একটা স্করপিও গাড়ি। আপনি হিন্দু এলাকায় গিয়ে বলছেন ভোট দিতে হবে। সিপিএমের মতো কথা? আগে সিপিএমের নেﷺতা ছিলেন। ভদ্রভাবে নির্বাচন করুন। চোখ দেখাবেন না। কেষ্ট মণ্ডলও চোখ দেখাত। চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ বলত। নকুলদানা বলত। উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে বলত। এখন সব চুপসে গেছে। কেষ্ট বাঘ এখন বিড়ালের থেকেও অধম। কানাই কেষ্টর ওপরে নয়। চোর কানাই মণ্ডল একটু সাবধানে চলবেন। আমার কাছে আপনাদের ঠিকু়জি কুষ্টি আছে। সবগুলোই আমার হাত ধরে তৃণমূলে গেছেন’।
জবাবে কানাইবাবু জানান, ‘উনি অসত্য কথা বলছেন। আমার গাড়ির কাগজপত্র আছে। মাসে ২৫ হাজার টাকা করে কিস্তি দিয়ে গাড়ি কিনেছি। সেই কিস্তি চলছে। নি🍬র্বাচন কমিশনের হলফনামাতেও তার উল্লেখ রয়েছে। আর কাগজপত্র থাকলে উনি দেখাক। ইডি - সিবিআই দিয়ে তদন্ত হোক। উনি মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছেন’।