শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারল মালগাড়ি। তার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই ঘটনায় অনেক যাত্রীই আহত হয়েছেন। যদিও সেই বিষয়ে আপাতত রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। যে দুটি ডিভিশনের আওতায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস চলাচল করে, সেই পূর্ব রেল এবং উত্তর꧒-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে আপাতত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। আপাতত রাজ্য প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়নি যে কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা। তবে সেই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে?
নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স𓆉্টেশনেꦯর মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে আসে। আর সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
🐟ধাক্কার অভিঘাত এতটাই ছিল যে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে একটি বগির অর্ধেক অংশ উঠে গিয়েছে। একটি বগি পুরো রেললাইনের পাশে উলটে পড়ে আছে। দুটি বগির যা অবস্থা হয়েছে, তাতে অনেক যাত্রী আহত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ, জানালেন মমতা
তারইমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে হতবাক হয়ে গিয়েছি। ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে যাচ্ছে যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরেছে একটি মালগাড়ি। উদ্ধারকাজ এবং চিকিৎসা প্রদানের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, চিকিৎসকরা। প💦াঠানো হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে।’
প্রশ্নের মুখে রেলের সুরক্ষা
সেইসবের মধ্যেই ওই ঘটনায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প🧜্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-বন্দে মেট্রো-বুলেট ট্রেনের আড়ালে যে ট্রেনগুলি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করেন, সেগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কীভাবে মালগাড়ি এসে পিছন দিক থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে ধাক্কা মারল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কোনও গলদ ছিল?
যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু সেইসব প্রশ্নেই বিষয়টি থেমে থাক෴ছে না। যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তা লড়ঝড়ে আইসিএফ কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছিল। আর ঠিক সেই কারণেই দুর্ঘটনার অভিঘাত আরও বেড়েছে বলে মনে কর💧ছে সংশ্লিষ্ট মহল।