বিরোধীরা সমালোচনা করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ꧑প্রকল্পের। অথচ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বিজেপি শাসিত রাজ্যেই অন্য নামে ব্যবহার হয় ভোট বৈতরণী পার হতে। এমন নজির দ✨েখেছে মধ্যপ্রদেশ। এখন বিরোধীরা বাজারে চাউর করেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তার উপর কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক অবরোধের পথে হেঁটেছে। এসব যখন বাজারে চাউর করা হয়েছে তখন উত্তরবঙ্গে সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শিলিগুড়ি থেকে লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন।
এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টার্নিং পয়েন্ট। বাংলার মা–বোনেরা তা পেয়ে থাকেন। প্রত্যেক মাসে সাধারণ ক্যাটেগরির মহিলারা ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান। সেটাই বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুইসপারিং ক্যাম্পেন থেকে শুরু করে প্রকাশ্য বলছেন বিজেপি নেতারা। আর আজ তারই জবাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ঘোষণা করলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে ওল্ডেজ পেনশন হিসাবে পেয়ে যাবেন। আমরা রাজনীতি ক𓄧ম করি, উন্নতি বেশি করি। কেউ কেউ আছে, সারাদিন ক🅷ুৎসা করে, গালাগাল দেয়। মনে রাখবেন, খারাপ কথা বললে মন খারাপ হয়। ইতিবাচক মনোভাবের ক্ষতি হয়।’
অন্যদিকে মুখ্যমন🥂্ত্রীর কাছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির মাধ্যমে অনেক ফোন এসেছে বলে জানান। জনসভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য,‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে আমার কাছে অনেক ফোন এসেছে। ৯ লক্ষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কেস এসেছে। ১২ লক্ষ উইডো পেনশনের কেস এসেছে। শুনে রাখো বিজেপি সরকার, আমরা শুধু ভোটের সময় পাঁচ কেজি চাল, আটা দ☂িই না। সারা বছর দিই। আবার ভোট এসেছে, ওমনি ঘণ্টা বাজাতে শুরু করেছে। এই দেব, সেই দেব বলছে। আজকে আর উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত নয়। আজকে উত্তরবঙ্গ উন্নত শির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
আরও পড়ুন: নেতাজি ইন্ডোরে সরকারি কর্মচ꧒ারীদের সম্মেলন,জানুয়ারি মাসে কি মিলিত হবেন মুখ্𓆏যমন্ত্রী?
এছাড়া লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করার জন্য এখন দুয়ারে সরকার শিবির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ এখন সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তারই ব্যবস্থা করেছে𒉰 রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যানসেল হবে না। সারাজীবন পেয়ে যাবেন পেনশন আকারে।’ শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভায় তাঁর সংযোজন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছিলাম। উনি সময় দিয়েছেন। আমরা বাংলার হকের পাওনার কথা বলতে যাব। স্পষ্ট বলব, আমাদের টাকা আমাদের দাও।’