প্রত্যেকটি নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বামের ভোট রামে গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে তা শুরু হয়েছে। যা এখনও অব্যাহত। এবার দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। তাই নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে সিপিএম। বিজেপিতে যাওয়া ভোট ঘরে ফেরাতে হবে। তার জন্য জোরদার প্রচার শুরু করেছে সিপিএম। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে চায় সিপিএম। অর্থাৎ বি📖জেপিকে এবার মাঠে ময়দানে বুঝে নিতে চাইছে সিপিএম। তা বলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই স্ট্র্যাটেজির ছবি দেখা গেল কৃষ্ণনগর–সহ অন্যান্য জেলায়। নিয়মিত জনসংযোগ করছেন সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। হারানো ভোটব্যাঙ্ক ফেরানোই টার্গেট লালপার্টির। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই লোকসভা নির্বাচনকেই প্রাক প্রস্তুতি পর্ব হিসꩲেবে দেখছে সিপিএম।
এদিকে সিপিএম এটা ঠিক করেছে, সব আসনে তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি জিতবে না। সেক্ষেত্রে হেরে যাওয়া আসনগুলিতে দ্বিতীয় স্থানে আসতে হবে। আর নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ফেরাতে হবে বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে বামের ভোট রামে পড়েছিল। তাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল বিজেপি। শুধু কৃষ্ণনগর নয় অন্যান্য🍷 লোকসভা কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটেছিল। কৃষ্ণনগরে ২০১৪ সালে সিপিএম ২৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই ভোট ৯ শতাংশে এসে নেমেছে। আর বিজেপির ভোট ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়। তাই এখন মূল লক্ষ্য হারানো ভোটব্যাঙ্ক ফেরꦓাতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘আপনি নিজে চাননি চাকরি হোক’, অভিষেকের ꦅনিশানায় এবার বিজেপি নেতা অভিজিৎ
অন্যদিকে সর্বত্রই এই স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে। তাহলে কি সিপিএম জিততে চায় না? প্রশ্ন উঠছে। সিপিএম অবশ্যই জিততে চায়। তার জন্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। কিন্তু সব আসনে তাদেরও জেতা এখন সম্ভব নয়। তাই যে আসনগুলি এবার হারাবে সেগুলিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবং ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পাওয়াই লক্ষ্য। এই বিষয়ে প্রচারে বেরিয়ে সিপিএম প্রারౠ্থী এস এম সাদি বলেন, ‘সারা দেশে যে লড়াই চলছে সেটা মতাদর্শগত লড়াই। আমরাই একমাত্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তাই মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। যারা আগে রাম পরে বাম মনে করেছিলেন তাঁরা সাধারণ মানুষ। তাঁরা এখন বামেদের দিকেই ফিরছেন।’
এছাড়া এই স্ট্র্যাটেজি যদি ক্লিক করে যায় তাহলে কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের খুব ক্ষতি হবে না বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির থেকে বেশি আসন পাওয়াই লক্ষ্য। আর বিজেপি যে আসনগুলিতে হারবে সেগুলিতে দ্বিতীয় স্থানে আসতে পারলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে 🐻প্রধান বিরোধী দলের জায়গা নিতে পারবে সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক অটুটই আছে। সেখানে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক সিপিএম ফিরে পেলে ক্ষতি আখেরে বিজেপির। ক🌳মতে পারে অনেক আসন। কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের কথায়, ‘সিপিএম হল বিজেপির বি–টিম। সিপিএম বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছে। এবারও তাই করলে মানুষ আর সিপিএমকে ভোট দেবে না।’