♎বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এবার তিনি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। বুধবার মেচেদা বাইপাসের মিছিল থেকে তিনি বলেন, ‘রাজীব গান্ধী, জ্যোতি বসুরা পারেননি। আপনি তো কোনছাড়। হুমকি দিয়ে লাভ হবে না’। তবে কবে, কখন, কারা তাঁর পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন তা খোলসা করেননি তিনি।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘অধিকারী পরিবারের উপর কম হামলা হয়েছে? ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে বসিয়ে দেবে। পুলিশের সঙ্গে রোজ বৈঠক করছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে✨। আপনি ইতিহাস জানেন না। আপনার বয়স কম। অধিকারীদের ধমকে চমকে লাভ নেই।’ অধিকারীর পরিবারের উপর এখন চাপ বেড়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নানা দুর্নীতি𝓰 নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার লোকসভায় শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ প্রত্যাহার করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস চাপ দিতে শুরু করেছে। ২ཧ০২৪ সালে শিশির–দিব্যেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে বিস্তর সংশয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘১৯৮৬ সালে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। ৪০৩টা সাংসদ ছিল। ইন্দিরা গান্ধী মারা যাওয়ার পরও ছিল। রাজীব গান্ধী তিনটে হেলিকপ্টার নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তখন অধিকারীদের বিরুদ্ধে রাজীব গান্ধীকে দিয়ে বলানো হয়েছিল।’ তারপরও অধিকারীদের কিছু করা যায়নি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় উদাহরণ হিসাবে তিনি সিপিআইএমের কথা টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম এখান থেকে বামফ্রন্টের বিধায়ক সুখেন্দু মাইতি জিতেছিলেন। কংগ্রেস জিততে পারেনি। রাজীব গান্ধীর কথাও কাঁথির লোক গ্রহণ করেনি। প্রবাদপ্রতীম কমিউনিস্ট নেতা, সাড়ে ২৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবাবুকে ১৯৯৫ সালে বামফ্রন্ট এনেছিল। সেদিনও পুরসভা অবিভিক্ত কংগ্রেসের শিশির অধিকারী জিতেছিল। আমিও কাউন্সিলর হয়েছিলাম। আপনারা এঁদ꧙ের থেকে শক্তিশালী নন। এসব ধমক-চমক দিয়ে লাভ নেই।’
এখানে চাঁচাছোলা ভাষায় শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্র♏ামের লোক প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতন্ত্রে কোনও দল বেশি দিন থাকে না। খুব দম্ভ না! স্বাধীনতার পর লোকে জানত শত শত বছর কংগ্রেস থাকবে। কংগ্রেস ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের একজনও নেই। ৩৪ বছর বাম জমানায় মানুষ ভাবত সিপিআইএম যতদিন চাইবে এখানে থাকবে। এবার বিধানসভায় সিপিআইএমের একজন সদস্যও নেই। এত দম্ভ কেন?’