কর্মসূত্রে বাবা-মাকে দিনের অধিকাংশ 🌱সময় বাইরে থাকতে হয়। পরিচারিকার হাতে শিশুর দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। বাবা﷽-মা'র অনুপস্থিতিতে এবার সেই শিশুকেই শারীরিক নিগ্রহ করল পরিচারিকা। তাকে তুলে আছাড় মেরে ফেলল পরিচারিকা। পুরো ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। হাড়হিম করা ঘটনা দেখে স্তম্ভিত শিশুটির অভিভাবকেরা। ১০ মাসের শিশুকন্যাকে শারীরিক নিগ্রহের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত পরিচারিকাকে।
বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটꦿেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। আজ অভিযুক্ত ওই পরিচারিকাকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা শিশুটির মা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাবলিক হেলথ ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার পদে কর্মরত। আর বাবা দেবাশিস দাস পেশায় চিকিৎসক। এই দম্পতি নিজেদের ১০ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে পাঁশকুড়𓆉ার মেচেগ্রামে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে অর্থাৎ ২০১৮ সাল থেকে তাঁদের ওই ভাড়ার ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করছিলেন ৫০ বছরের কল্পনা সেন। ওই পরিচারিকা স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে শিশুকন্যার জন্ম দেন নবমিতা দেবী। মেদিনীপুরে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি 🐎কাটিয়ে মে মাসে পুনরায় ওই ফ্ল্যাটে ফেরেন তিনি। তারপর থেকে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে সেখানেই থাকতে শুরু করেন।
গত কয়েক ম💫াস আগে পরিচারিকার আচরণে সন্দেহ হয় ওই দম্পতির। এরপরেই তাঁরা পরিচারিকার ঘরের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। আর সেই ক্যামেরার সংযোগ নিজেদের ফোনের মধ্যে চালু করিয়ে নেন দু'জনেই। যাতে ঘরের মধ্যে কী হচ্ছে, তার নজরদারি করা যায়। তারপরে নিজেদের কাজে যোগ দেন ওই দম্পতি। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, তাঁদের অবর্তমানে শিশুটির পা ধরে খাটের উপর আছাড় মারছে ওই পরিচারিকা।
দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসেন দম্পতি। উদ্ধার করেন কন্যাসন্তানকে। পাঁশকুড়া থানায় অভিয꧑োগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ কল্পনাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। শিশুকন্যাটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।