অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে। তাই সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছে। ঘাসফুল শিবির ছেড়ে 🌸সিপিএমে যাচ্ছেন কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা বেশ চিন্তার। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে বীরভূমে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই তিনি বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে নতুন করে কমিটি গঠন করা আগেই হয়েছে। বীরভূমের জেলার নেতাদের নিয়ে তিনি বৈঠকও করেছেন। এবার সেখানে যাওয়াটা বাকি। তাই জেলাওয়ারি বৈঠক করে সাংগঠনিক স্ট্র্যাটেজি সাজানোর কাজে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আগামী শনিবার আলিপুরদুয়ার থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জনসভা শুরু করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গত ১৭ মার্চ কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা ও রাজ্য সংগঠনের পদাধিকারী এবং শাখা সংগঠনের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন জানানো হয়, এবার থেকে মাসের তিনটি সপ্তাহে একটি করে জেলার নেতাদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলবেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর একটি সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ জে🐠লার নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা। তারপরের সপ্তাহে বীরভূম জেলার নেতাদের বৈঠক করেন মমতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখꦆ করেই এই বৈঠক।
আর কী জানা যাচ্ছে? পূর্ব মেদিনী൩পুর জেলায় গিয়ে বুথ কর্মী সম্মেলন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার হুগলি জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ২০ অথবা ২১ এপ্রিল এই বৈঠক হ🔯তে চলেছে বলে সূত্রের খবর। আর ২০ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কর্মসূচি রয়েছে। এছাড়া ৫টি জেলায় জনসভা করবেন অভিষেক। সংগঠনকে আরও গুছিয়ে নেওয়ার কাজে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছবেন তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
কোন ইস্যুগুলিকে কমব্যাট করতে হবে? নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুকে নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরতে হবে। ইতিমধ্যেই যাঁরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাঁদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া শিবপুর এবং বিষড়া নিয়েও নেত্রী কোনও বার্তা দেন কি না, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। কারণ রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তী বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। সুতরাღং বিজেপি নেতারা এখনও বাঙালি হতে পারেনি বলেই অনেকে মনে করছেন। এখন সেটাই তৃণমূল নেত্রীর মুখে উঠে আসে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। রাজ্যের পুলিশ দিয়েই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘বিরোধীরা হারবে জেনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দোহাই দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হয়, তাহলে সব রাজ্যে তা করতে হবে।’