রাজধানী এক্সপ্রেস নাবালিকা যাত্রীর যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার সহযাত্রী এক যুবককে গ্রেফতা📖র করেছে রেল পুলিশ। যদিও নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে রেল পুলিশ। তবে রাজধানীর মতো অভিজাত ট্রেনে এমন ঘটনায় উঠ🔥েছে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে টানা একমাস ধরে ধর্ষণ দার💦্জিলিংয়ের বৃদ্ধের
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা একটি বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী। তিনি স্ত্রী এবং ৩ সন্তানকে নিয়ে হিজলি থেকে ভুবেনশ্বর–দিল্লি তেজষ রাজধানী এক্সপ্রেসের বি থ্রি কোচে ওঠেন। ওই কোচেই উঠেছিল অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, তার টিকিট কনফার্ম ছিল না। তা সত্ত্বেও অভিযুক্ত যুবক রাজধানীতে সফর করছিল। ট্রেন মুঘলসরাই পেরোতেই যুবকের আসল চেহারা সামনে আসে। কোচের যাত্রীরা সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। নাবালিকার বাবা মাও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই সুযোগে ওই যুবক নাবালিকার সিটে গিয়ে পাশে বসে। তারপরে ওই যুবক মেয়েটিকে যৌন হেনস্তা করে। এরপরেই ম♒েয়েটি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। তখন মেয়েটি চিৎকারে তার বাবা-মা এবং কোচের অন্যান্য যাত্রীদের ঘুম ভেঙে যায়। এরপরে অন্যান্য যাত্রীরা ওই যুবকের উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন রেলের টিটি, প্যান্ট্রি কর্মী এবং পুলিশ কর্মীরা। তাꦫরা অভিযুক্ত যুবককে কোচের 💮মধ্যে আটকে রাখেন। এরপর ট্রেনটি কানপুর স্টেশনে পৌঁছতেই স্টেশনের রেল পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করে। ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারাতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় যুবকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। একইসঙ্গে অন্যান্য যাত্রীরাও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে যাত্রীদের অনে✃কেই ট্রেনে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, তারা সকলেই ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় প্রথমে ওই যুবক বাথরুমে যায়। তারপর বাথরুম থেকে বেরিয়ে তাদের মেয়ের কাছে গিয়ে বসে। এরপর শরীরের গোপন অঙ্গে স্পর্শ করে। যদিও ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই যুবক। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।