লোকসভা নির্বাচনে মানুষের রায়ে সাফল্য ঘরে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার আগামী সোমবার নবান্নে রাজ্যের একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান ও পুরসভার অফিসারদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখ𒀰ানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সব জেলার জেলাশাসকরা। এখানে হাওড়া এবং বালি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা হতে পারে। এমন সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে হাওড়া এবং বালি পুরসভা এলাকার বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তাই এখানের পুরসভার নির্বাচন নিয়ে নানা কথা উঠে আসছে। ভোটের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেউ। সব ঠিক থাকলে আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে এই দুই পুরসভার নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে🌠।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী তথা হাওড়া মধ্য বিধানসভার বিধায়ক অরূপ রায়, যুবকল্যাণ🍃 দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি, হাওড়া উত্তরের বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, বালির বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় এবং হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীকে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। সুতরাং পুরসভার দিক থেকে যে পরিষেবা দেওয়া হয় সেই সংক্রান্ত আলোচনা হবে। একইসঙ্গে দুই পুরসভার বকেয়া নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে হাওড়া এবং বালি ছাড়াও হলদিয়া পুরসভার নির্বাচনও সামনে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘জনগণের ই꧂চ্ছাকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে’, তাহেরপুর–ঝালদা বাদ পড়ায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহু পুরসভায় পিছিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই বৈঠকে সেটা উঠে আসবে বলে খবর। ২০১৮ সালে হাওড়া পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বালি পুরসভায় ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যেতেই দু’ক্ষেত্রেই প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হাওড়ায় বিরোধীদের প্রচারের হাতিয়ার ছিল পুরসভার পরিষেবার বেহাল দশা। কিন্তু তারপরও হাওড়া লোকসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেস জেতে। তবে সোমবারের বৈঠকে হাওড়ার বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলা যথেষ্ট তাꦆৎপর্যপূর্ণ।
এছাড়া ২০১৬ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। রাজ্য সরকারের এই কাজের জেরে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে হয় ৬৬। ২০২১ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়ার থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এই ভাগাভাগির জেরে বালি পুরসভার ভোট করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারণ হাওড়া আবার ৫০টি ওয়ার্ডের পুরসভায় পরিণত হয়। অথচ আইনে ৬৬টি ওয়ার্ডের কথা বলা রয়েছে। পরে 🧔এই ৫০টি ওয়ার্ডকে পুনর্বিন্যাস করে ৬৬টি ওয়🙈ার্ডে পরিণত করা হয়। তাই এখন হাওড়ায় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আর কোনও জটিলতা নেই।