সম্প্রতি প্রধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। প্রধানমন্ত্রী মায়ের মৃত্যুর সময় মোদী ন্যাড়া না হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন লালু। এরপরই বিজেপির তরফ থেকে 'মোদীর পরিবার' কর্মসূচি শুরু করা হয়। আর তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এই সব বিতর্ক নিয়ে আজ বাংলার মাটি থেকে জবাব দিলেন মোদী। আজ বারাসতে�൲�র সভাস্থলে মা দুর্গার মূর্তি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। মোদী মঞ্চে ওঠার পরে বক্তব্য রাখেন দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি মালদা এবং সন্দেশখালিকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে কটাক্ষ করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০০ টাকার বিনিময়ে বাংলার মা-বোনেদের সম্মান বিক্রি করেছেন।’
এদিকে আজ মোদী বলেন, ‘আজকের এই বিশাল জনসমাগর প্রমাণ করছে কীভাবে বিজেপি নারী শক্তিকে ভিত্তি করে দেশের উন্নয়নের পথ গড়ছে। বিজেপির শক্তি বন্দনা কর্মসূচির সময় দেশের মহিলাদের কাছে গিয়ে আমরা কথা বলেছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকের কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য প্রান্তের নারীরাও অংশ নিয়েছেন।’ মোদী আরও বলেন, ‘বিজেপির মহিলা মোর্চর নেতাদের অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বহু বছর সংগঠনে কাজ করেছি। তাই জানি, এত বড় আকারের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পরিকল্পনা করা, দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের অন্যতম বড় ঘটনা। এবার গ্রামে গ্রামে আমাদের মা, বোন, মেয়েরা নারী শক্তি বনಞ্দনা কর্মসূচির জন্য দৌড়াচ্ছিলেন।’
এদিকে 'পরিবার বিতর্ক' নিয়ে আজ মোদী বলেন, ‘কেন্দ্রে এনডিএ ফিরবে, এটা নিশ্চিত দেখে ইন্ডি জোটের নেতারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। আর এখন তারা মোদীকে গালি দিতে শুরু করে দিয়েছে। আজকাল ইন্ডি জোটের লোকেরা আমার পরিবার নিয়ে বলছে। তারা বলে, আমার নিজের পরিবার নেই, তাই পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে পারি। তারা জানতে চায়, আমার পরিবার কোথায়। আজকে এখানে যে নারীরা এখানে এসেছেন, যারা প্রযুক্তির মাধ্যমে এই♉ সভায় যোগ দিয়েছেন, তারাই আমার পরিবার। বাংলার প্রত্যেক মা-বোনেরা আমার পরিবার।’ মোদীর কথায়, ‘আমার জন্য বাংলার মা-বোনেরা দুর্গার মতো উঠে দাঁড়ায়। আজকে দেশের সব পরিবার নিজেদের মোদীর পরিবার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আজকে দেশের সব গরিব বলছে, আমরা মোদীর পরিবার।’
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘কারও কারও মনে হয়, কোনও কোনও রাজনীতিক মনে করবেন, তাঁরা গালি দিয়েছেন বলে আমি সবাইকে আমার পরিবার হিসেবে পরিচয় দিই। তবে আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন ঝোলা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তখন দেশের কোণায় কোণায় গিয়ে কিছু এটকা খুঁজছিলাম। তখন আমার পকেটে এক পয়সাও থাকত না। অনেক জায়গার ভাষাও আমি জানতাম না। তবে আমার দেশের মা ও বোন, পরিবার… জানি না কী কারণে, তবে তাঁরা আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, আমি খাবার খেয়েছি কি না। আমার পকেটে এক পয়সাও ছিল না। তবে আমি একদিনও পেটে খিদে নিয়ে থাকিনি। আর তাই আমি বলি, এই গ🦂োটা দেশ আমার পরিবার। সেই সময় আমার কোনও পরিচয় ছিল না। কাঁধে𒊎 ঝোলা নিয়ে ঘুরতে থাকা এক যুবক ছিলাম আমি। সেই সময় দেশের অনেক গরিব পরিবারও আমার চিন্তা করেছে। আর তাই আজ আমি দেশের গরিব, মা-বোনেদের জন্য কাজ করছি। কারণ আমি সেই ঋণ শোধ করছি।’