শিলিগুড়ি কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে ফাঁসিদেওয়া ও নকশালবাড়ি। এর আগে এই দুটি এলাকা দার্জিলিং জেলা পুলিশের অধীনে ছিল। কিন্তু এবারে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত হলে এই দুই 𝕴এলাকার মানুষের নিরাপ📖ত্তা সুনিশ্চিত হবে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি এই দুই এলাকার বাসিন্দারা।
সম্প্রতি নবান্নে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি থেকে দার্জিলিঙয়ের দুরত্ব অনেকটা। দার্জিলিং থেকে এসে ওই দুই এলাকার ওপর নজরদারি করা সম্ভব নয়। তাই এই দুই এলাকাকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে ফাঁসিদেওয়ায় এমার্জেন্সি ফোর্স লাইন, তিনটি থানা, পানিট্যাঙ্কি ও বিধাননগরে দু'টি ফাঁড়ি শিলিগুড়ি পুলিশ কম💮িশনারেটের অধীনে চলে আসবে। একইসঙ্গে ঘোষপুকুর, চটেরহাট, টেকরমারি সহ বিভিন্ন এলাকায় যে ক্যাম্পগুলি রয়েছে, সেগুলিও শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অধীনে এসে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই এলাকার পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। পাশাপাশি প্রতিবেশি রাজ্য বিহারও রয়েছে এই এলাকা থেকে কাছে। ফলে এই এলাকায় অন্য রাজ্য বা প্রতিবেশি দেশ থেকে এসে দুষ্কৃতীদের দৌড়াত্ম্য বাড়ছিল। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের সঙ্গে এই দুই এলাকা যুক্ত হলে দুষ্কৃতীদের দৌড়াত্ম্য অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জমি মাফিয়াদের দাপট নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কানু সান্যালের জমি দখল ꦜহওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কানু সান্যালের জমি কীভাবে দখল হল? রাজনৈতিক রং না দেখে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।