সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আগামী সেপ্টেম্বরে মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) এবং সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষার (জেইই মেন) আয়োজনে কোনও বাধা নেই। কিন্তু ‘পড়ুয়াদের স্বার্থে’ সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রকে শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিলের আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ✨াধ্যায়।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে করোনাভাইরাস আবহে নিট ও জেইই পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা। তবে সে বিষয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ায় কিছুটা সতর্কভাবে ൲পা ফেলেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানান, 'পড়ুয়াদের স্বার্থে' যাতে শীর্ষ আদালতে নিজেদের রায় পুনর্বিবেচনা করে🥂 দেখে, সেজন্য কেন্দ্রের তরফে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হোক। সেক্ষেত্রে মোদীর হস্তক্ষেপেরও দাবি জানান মমতা।
গত ১৭ অগস্ট নিট ও জেইই মেনের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দেয়, করোনা🅺ভাইরাস পরিস্থিতি সত্ত্বেও ‘জীবন চলতে হবে’ এবং ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করে পড়ুয়াদের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে না আদালত। তিন সদস্যের বেঞ্চ বলে, ‘পড়ুয়াদের কেরিয়ার বিপদের মধ্যে ফেলা যায় না। আমরা এই পিটিশনে কোনও ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছি না। পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হল।’
তা সত্ত্বে কী কারণে নিট ও জেইই স্থগিত রাখার দাবি তুলেছেন, তা জানিয়েছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘যাতে তাঁর♌া (পরীক্ষার্থীরা) মানসিক যন্ত্রণা ও দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি পান। পড়ুয়াদের বৃহত্তর 🐈স্বার্থে এরকম হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা যায়, যেখানে পড়ুয়াদের গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা হবে না, আবার তাঁদের কেরিয়ারের ক্ষতিও হবে না।’
তবে পরীক্ষা স্থগিত করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে এই প্রথম চিঠি দিলেন না মমতা। 💃সোমবারই মোদীকে চিঠি লেখেন তিনি। শুধু মমতা নন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও কেন্দ্রের কাছে একই আর্জি জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও একই আবেদন করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।