হুগলির বলাগড়ের বাধাগাছিতে পাঁচ বছরের শিশু স্বর্ণাভ সাহার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা জোর চর্চা। পুলিশ ইতিমধ্য়েই শিশুর দাদু শম্ভু সাহা, ঠাকুমা চায়না সাহা ও জেঠিমা টুম্পা সাহাকে আটক করেছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে। শনিবার থেকে নিখোঁজ। রবিবার ভোরে বাড়ির শৌচাগারে পাওয়া গেল শিশুর দেহ? নানা প্রশ্ন উঠছে।
এবার🔯 প্রশ্ন, বউমাকে জব🍨্দ করতেই কি নাতিকে খুন করা হয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তবে পাড়া প্রতিবেশীরা নানা কথা বলতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, শিশুর মায়ের সঙ্গে শাশুড়ি ও জায়ের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকী শিশুটি ঠাকুমার কাছে খুব একটা বেশি যেত না। মা যতক্ষণ বাড়িতে থাকত না ততক্ষণ ধরে প্রতিবেশীর বাড়িতেই থাকত স্বর্ণাভ।
এদিকে শিশুর মাসি দীপিকা বিশ্বাসের দাবি, রবিবার ভোরে বাড়ির শৌচালয় থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার ভো🥂রেও সেই শৌচালয় ব্যবহার করা হয়েছিল। আর তখন সেখানে শিশুর দেহ দেখা যায়নি বলে মাসির দাবি।
এদিকে প্রতিবেশীরাও এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। প্রতিবেশীরা বলেন, পুলিশ তখন এলাকায় চলে এসেছে। তখনও বলা হচ্ছিল তান্ত্রিকের কা🗹ছে যাব। একটা জামা, প্য়ান্ট নিয়ে যাচ্ছিল। বলল তান্ত্রিকের কাছে যাব। এবার ওর দাদু বলছে বিকাল ৪টের মধ্য়ে বাচ্চা বাড়িতে ঢুকে যাবে। প্রশাসন কিছু করতে পারছে না। আর ওরা বলছে তান্ত্রিকের কাছে যাব। এটা কীভাবে সম্ভব!
এদিক🎉ে শিশুর মায়ের দ🦹াবি, তাঁর স্বামী পেশায় গাড়িচালক। তিনি মাঝেমধ্য়েই বাড়িতে থাকেন না। সেই সুযোগে তাঁর উপর শ্বশুর, শাশুড়ি অত্যাচার করতেন বলে তাঁর অভিযোগ।
এদিকে শিশু নিখোঁজের খবর পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছিল পুলিশ। ড্রোন উড়িয়ে, স্নিফার ডগ দিয়েও চলছিল তল্লাশি। তারপরেও খোঁজ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দাদু নাকি প্রথম দেখতে পান শিশুটিকে। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শিশুটিকে অন্য কোথাও খুন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলি༺শ এসে যাওয়ার পরেই দেহ লোপাট করতে পারেনি। সেকারণেই এবার বাথরুমে ভোরের দিকে দেহ রেখে আসা হয়েছিল। তবে পুলিশ ইতিমধ্য়েই তদন্তে নেমেছে।
এদি🐬কে সূত্রের খবর ঠাকুমার কাছে যাচ্ছি বলেই বেরিয়েছিল শিশুটি। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি💎। কারা খুন করল ওই ফুলের মতো শিশুটিকে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।