গত বছর খুন হয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপি নেতা বিজয় ভূঁইয়া। সেই খুনের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ধৃত নেতার নাম নবকুমার মণ্ডল। তদন্🐷তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় তদন্তভার🎀 নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও গ্রেফতার করল এনআইএ।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর নিরঞ্জনের জন্য ডাকা হয়েছিল, ভোরে ভগবানপুরে মিলল BJP নেতার 𝄹দেহ
বিজয় ভূঁইয়াকে খুনের অন্যতম অভিযুক্ত হলেন নবকুমার মণ্ডল। এতদিন তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে গতকাল রাতে গোরামহল গ্রামে নবকুমারের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বিজয় ওই♛ এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, ২০২৩ সালের ১ মে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে তাকে অপহরণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বাকচার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা সহ ৩৪ বিরুদ্ধে জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। তবে চার্জশিট পেশ করার সময় বেশ কয়েকজনের নাম বাদ দেওয়া দেওয়া হয়। ফলে তারা আদালতে জামিন পেꦗয়ে যান। ঘটনায় পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি ভূঁইয়া আদালতের দ্বারস্থ হন। তাদের অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্তভার দেয় এনআইএ-কে। গত এপ্রিল মাসে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ৯ জনকে আগেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অবস্থা♏য় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ জন। জানা গিয়েছে, নবকুমারের একটি মুদির দোকান রয়েছে। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। খুনের অভিযোগ ওঠার পরেই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক। নবকুমারও পলাতক ছিলেন। কয়েকদিন আগেই নবকুমার বাড়ি ফিরেছিলেন। আর সেই খবর পেয়ে আচমকা তার বাড়িতে রাতে হানা দেয় এনআআইএ। গ্রেফতারের পরেই নবকুমারকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না থানায়। সেখানে প্রশাসনিক কাজ কর্ম সারার পর সন্ধ্যায় তাকে কলকাতায়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ তাকে এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হবে। বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়ের খুনের ঘটনায় অনেকেই নোটিশ পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাজিরা দিয়েছেন আবার অনেকেই দে♌ননি। তাদের খুঁজে বের করছে এনআইএ।।