দুর্গাপুজোর সময়ে চারদিন রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে শিথিলতা আনা হয়েছিল। কালীপুজো এবং ছটপুজোতেও বিধিনিষেধে ছাড় থাকবে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরে তেমন কোনও ছাড় রাখা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে🍌 এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।
সম্প্রতি চন্দননগরের রবীন্দ্র ভবনে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানান, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ বহাল থাকছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বিসর্জনের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। নৈষ কার্ফু ও শোভাযাত্রার অনুমতি না মেলায় স্বভাবতই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার মতে, জগদ্ধাত্রী পুজো চন্দননগরের ঐতিহ্য। এটার সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। বিসর্জনের শোভাযাত্রার সঙ্গে দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে আছে। গত এক বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে এই সব কিছু হচ্ছে না। এবারেও রাত্রীকালীন কার্ফু বলবৎ রয়েছে। অথচ কলকাতায় রাত্রীকালীন কার্ফু হয় না। বুর্জ খলিফায় তো কিছু হল না। এখন চন্দননগরে হলেই সং🍌ক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে?
ওই প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির ছিলেন চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। তিনি জানান, ‘আগামিদিনে চন্দননগরের লোকেদের জন্যই বড় প্রকল্পের ভাবনা রয়েছে। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই তা ঘোষণা করা হবে। যা হবে তা আগামী ২০০ বছরে হয়নি।’ উল্লেখ্য, আগামী ৯ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর পঞ্চমী রয়েছে। আগামী ১৫ඣ নভেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।