সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার দলীয় নেতা–কর্মীদেরই প্রকাশ্যে কটাܫক্ষ করলেন তিনি। আর তা নিয়ে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। সামনে সি🍎তাই এবং মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। যদিও মাদারিহাট কেন্দ্রে বিজেপি শক্তিশালী। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট ছয়ে ছয়। সেখানে যাতে ছয়ে পাঁচ না হয় তার জন্যই এমন কড়া ভাষায় দাওয়াই দিলেন উদয়ন গুহ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে দলীয় নেতা–কর্মীদের এমন দাওয়াই দেওয়ায় তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনটা যে হবে তা তাঁরাও কল্পনা করতে পারেননি। নেতা–কর্মীদের দাওয়াই দিতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করে না। আমার কাছে এসে শুধু একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। কে বেশি খেল, কে কম খেল এইসব নিয়ে গন্ডগোল। নেতারা শুধু মনে করেন আমি থাকব ও আমার এক গোষ্ঠী থাকবে। খাবারের ভাগ নিয়ে যত কাজিয়া। যদি খাওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে সব নেতারা টাইট হয়ে যাবে।’ উপনির্বাচনের𝓰 প্রাক্কালে এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বাবুঘাটের গঙ্গাপাড় এবার সেজে উঠছে ১৫ হাজার প্রদীপে, কেন হঠাৎ এমন উদ্যোগ?
অন্যদিকে দিনহাটার সাহেবগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। আর সেখানেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাদের কড়া দাওয়াই দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। অক্টোবর মাসেই বহু চর্চিত শিরদাঁড়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। তাঁর তখন বক্তব্য ছিল, ‘যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে শিরদাঁড়ার ব্যবসা করছেন, তাঁদের শিরদাঁড়া এবারের উপনির্বাচনে এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে যাতে সহজে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না।’ সেই বিতর্কের রেশ থাকতেই উদয়নের বক্তব্য, ‘লোকসভা নির্বাচনে যেখানে খারাপ ফল হয়েছে তার জন্য দায়ী দলের নেতারাই। কারণ এক নেতা অন্য নেতাকে কাঁকড়ার মতো পা ধরে নামানোর চেষ্টা করছেন। আগামী দিনে এমনটা করলে তাঁদের দলে আর জায়গা হবে না। তাই তৃণমূল কংগ্রেস যদি করতে চান, চেয়ারটাকে দখলে রাখতে ꦗচান তাহলে সঠিক থাকুন। 𓃲না হলে পরিণাম খুব খারাপ হবে।’
এছাড়া আগামী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে এবং মাদারিহাটে উপনির্বাচন রয়েছে। তাই সেসব জায়গায় যাতে নেতা–কর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করেন তার জন্যই এমন কড়া দাওয়াই বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস মোট ২৯টি আসন জিতেছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে খুব ভাল ফল মেলেনি। কয়েকটি আসনে জয় এলেও সবটা নয়। এই বিষয়ে আগাম নেতা–কর্মীদের সতর্ক করতেই উদয়নের কথায়, ‘নিজেদের শোধরান না হলে এমন পরি♉স্থিতি হবে যে💧 মঞ্চে বসা তো দূরের কথা নীচে পলিথিনে বসার জায়গাও থাকবে না।’