ভিড় বাসে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনি। অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে। ঘামে প্যাচপ্যাচ করছে শরীর। হাজারটা ঝামেলা মাথার মধ্যে ঘুরছে। সেই সময়ই আপনার কাছে বন্ধুর ফোন এল, দুদিনের জন্য দার্জিলিং যাওয়ার আমন্ত্রণ! মনটা꧋ আনন্দে নেচে ওঠে। কিন্তু যাবেন কোথায়? সেই ঘিঞ্জি দার্জিলিং নাকি অফবিট কোনও জায়গা। আর এই অফবিট বললেই একটা জায়গায় ঘুরে আসতেই পারেন। নাম বাগোরা।
কার্শিয়াংয়ের ছোট্ট গ্রাম বাগোরা। ৭১৫০ ফুট উচ্চতায় ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। সবুজে সবুজ। ফুলে ঢাকা ൲পথ। ভাগ্য ভালো থাকলে হোমস্টের জানালা খুললেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোরবেলা চলে যান সূর্যোদয় দেখতে। সূর্যের প্রথম আলো যখন ছড়িয়ে পড়ে বাগোরার উপর সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। গরমকাল বলে আলাদা কিছু নেই। অত্যন্ত মনোরম আবহাওয়া। চারপাশে নাম না জানা পাখির ডাক মন ভালো করে দেয়।
গ্রামের মধ্য়ে পায়ে চলা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। দুপাশে লম্বা গাছের সারি, কুয়াশায় ꧒মোড়া চারদিক। তার মধ্যে প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে আসুন। দেখবেন একটা কথাই মনে হবে এই জীবন কত মধুর। এখানে সরকারি একটি বন বাংলো আছে। সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে আরও ভালো লাগবে। একাধিক হোমস্টেও গড়ে উঠছে। তবে আগাম বুক করে তারপর আসবেন।
এখান থেকে কাছেপিঠে একাধিক জায়গায় যেতে পারেন আপনি। এখান থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে রয়েছে চিমনি গ্রাম। ইংরেজ আমলের কিছু নিদর্শন এখনও রয়েছে এই গ্রামে। সেখানে একব𝔍ার ঘুরে আসতে পারেন। ১২ কিমি দূরে রয়েছে মংপু। ৮ কিমি দূরে রয়েছে চটকপুর। সবগুলিই অপরূপ সুন্দর। কার্শিয়াং থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে রয়েছে এই বাগোরা গ্রাম।
বাগোরার কꦇাছ দিয়েই বয়ে গিয়েছে তিস্তা নদী। আর আছে কমলালেবুর বাগান। অনেকে কমলালেবুর বাগান দেখার জন্য সিটং যান। তবে আপনি এখানে এসেও দেখতে পাবেন সেই কমলার বাগান।
যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই গ্রাম একেবারে আদর্শ জায়গা। এখান থেকে সিটং চলে যেতে পারেন। কমলালেবুর গ্রাম বলে পরিচিত। অনেকেই ইদানি🍎ং ওখানে যান। সব মিলিয়ে দিন তিনেকের জন্য এলে শরীর মন দুটোই রিচার্জ হয়ে যাবে।
এনজেপি, বাগডোগরা কিংবা দার্জিলিং মোড় থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া যায়। তাতে করেই আসতে পারেন সিটং। অনেকে আবার কার্শিয়াং এসে সেখান ౠথেকে বাগোরা আসেন। তবে আসার পথে যে ছবি দℱেখবেন তা মন ভরিয়ে দেবে।