মাঝেমধ্যেই সমতলে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়েও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি । সবুজে সবুজ গোটা পাহাড়। এই সময় বেড়িয়ে পড়ুন দার্জিলিংয়ের অফবিট জায়গায়। কিন্তু কোথায়💜 যাবেন? অনেক জায়গার মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে আসলটা।
হোমস্টেতে বসে কাঞ্চনজঙ্গা দেখতে চান? ঘুরে আসুন রামধুরা। এত সুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘা অন্য অনেক জায়গা থেকেই দেখতে পাবেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠবেন। হোমস্টের জানলা খুলে দেবেন। দেখবেন অপূর্ব সেই রূপ। যে রূপের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেন ভ্রমণ প🉐িয়াসী মানুষ।ไ তাদের জন্য রামধুরা একেবারে আদর্শ জায়গা। মেঘ সরলেই সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস꧙্থিত ছোট্ট সুন্দরী গ্রাম রামধুরা। বলা হয় ভগবান রামচন্দ্রের নামে এই গ্রামের নাম। ধুরা অর্থে গ্রাম।
রামধুরা থেকে🤡 একাধিক ট্রেকিং রুট আছে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে চলা পথ। চারপাশে কুয়াশার রহস্যময়তা। দূরের জিনিস ভালো করে বোঝা যায় না। আর এটাই ম্যাজিক রামধুরার।
এখান থেকে কাছেই এই জলসা ভিউ পয়েন্ট। একবার দেখে আসতে পারেন। চার💟 পাশে সিঙ্কোনা গাছের চাষ। ১৯৩০ সালের সেই জলসা ব👍াংলো আজও আছে। কাঠের বাংলো যেন অতীত দিনের ফেলে আসা কথা বলে পর্যটকদের।
আসার পথে রামধুরা ভিউ পয়েনꦜ্টে অবশ্যই দাঁড়াবেন। এখান থেকে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের সারি,তিস্তার✃ একাধিক বাঁধ আর দেখা যায় রংপো ব্রিজ।
রামধুরাতে নাইট স্টে করে, এরপর এখান থেকে🎐 ইচ্ছে গাঁও, সিলারিগাঁও দেখে আসতে পারেন।
তবে অনেকেই ইচ্ছেগাঁও আর রাম ধরা দুটোকে একই প্যাকেজ এর মধ্যে রাখেন। দুটি জায়গা থেকেই আপনি কাছাকাছি একাধিক স্পটে যেতে পা🐼রবেন। বেড়ানোর প্ল্যানটা সেভাবেই করতে পারেন। একদিন ইচ্ছেগাঁওতে থাকলেন। অপর দিন রামধুরাতে থাকলেন।
অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ🧜্যে এলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ার একটা নিশ্চয়তা থাকে। তবে বছরের অন্যান্য সময়তেও রামধুরার সৌন্দর্যই আলাদা। পাহাড় কখনো নিরাশ করে না।রামধুরাও নিরাশ করবে না আপনাকে।
এনজিপি থেকে রামধুরার দূরত্ব প্রায় ৮৬ কিলোমিটার। মানে ইচ্ছেগাঁও যাওয়ার রাস্তাতেই এটা পড়ে। আলগাড়া হয়ে যে রাস্তাটা একটু উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে ꦉসেটাই ইচ্ছেগাঁও ও রামধুরা যাওয়ার রাস্তা। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে চলে আসতে পারেন রামধুরা। তবে গণপরিবহণে কালিম্পং হয়ে এলে খরচ অনেকটাই কম পড়বে। কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন রামধুরা।