আবারও বাইসনের হামলায় মৃত্যু হলে এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের হাতিডাঙা গ্রামে। মৃতের নাম বীরেন বর্মন (৫৯)। তিনি বাগানে ফুল তুলছিলেন। সেই সময় আচমকা একটি বাইসন এসে তাঁকে আক্রমণ করে। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কোচবিহার মেডিক্💦যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থে✨কে শনিবার পর্যন্ত বাইসনের হামলায় কোচবিহারে ৮ জন জখম হಞয়েছেন। তার মধ্যে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইদানীং কোচবিহারে বাইসনের হামলা বেড়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের বক্তব্য, আচমকা জঙ্গল থেকে লোকালয়ে♒ ঢুকে পড়ছে বাইসন। প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এর ফলে হামলাও বাড়ছে।
মৃত ব্যক্তির ছেলে তুতুল বর্মন জানান, প্রতিদিনকার মতোই তাঁর বাবা সকালে উঠে ফুল তুলছিলেন। সেই সময় আচমকা জঙ্গল থেকে🐻 বেরিয়ে একটি বাইসন তাঁর বাবার মাথায় আঘাত করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি দেখতে পান জখম অবস্থায় রয়েছেন তাঁর বাবা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়াও বাইসনের হামলায় হোসেন মিঞা নামে আরও এক ব্যক্তি আহত হন। তিনি জানান, মাঠে কাজ করার সময় একটি বাইসন তাঁর বুকে এবং পায়ে আঘাত করে। এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বাইসনের হামলায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গল থেকে দুটি বাইসন লোকালয়ে ঢ🍸ুকে পড়েছে। তারাই আক্রমণ করছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাইসন দুটিকে জঙ্গলে ফেরানো♔র চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে মৃত এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বাইসনের গুঁতোয় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের উত্তর মেন্দাবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। মৃত মহিলার নাম রিমিলা হাজারি (৫৫)। মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকায় বারবার বন্যপ্রাণী প্রবেশ করায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন স্꧃থানীয়রা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelinꦫk.me/277p/🌳p7me4aup