হাওড়ার নেশা মুক্তি কেন্দ্রে যুবকের মৃত্যুর ঘ🐠টনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন মারধরের ফলেই শুভজিৎ💞 ঘরামির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল শুভজিৎকে। পরের দিন তাঁর পরিবারকে জানানো হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনায় খুনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। সে ঘটনার তদন্তে নেমে মারধরের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: নেশামুক্তি কেন্দ্রের ছওাদ থেকে পড়ে মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হল আসিফুর রহমান, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, কুমার মিত্র, সুমন জমাদার এবং উদয়ন মাইতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমার ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক এবং উদয়ন সেখানকার কর্মী। বাকি চারজন হল আবাসিক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করা হয়েছে। হাওড়ার দাসনগর থানার থেকে কিছুটা দূরে এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রটি অবস্থিত। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে শুভজিৎ ঘরামির ।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্🔥রে ভর্তি করা হয় শুভজিৎকে। এরপর বুধবার সকালে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানানো হয় শুভজিতের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নেশা থেকে বাঁচানোর জন্য শুভজিৎকে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, সেই নেশা কেন্দ্রে শুভজিতের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নামে পরিবারে। ঘটনায় প্রথম থেকে মারধরের অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। সেই 𓆉ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ নেশা মুক্তি কেন্দ্রের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে জানতে পারে শুভজিৎকে মারধর করা হয়েছিল। মালিক ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন মারধর করেছিল।
পুলিশ জানতে পারে, মারধরের ফলে অচেতন হয়ে পড়ে শুভজিৎ। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে জ্ঞান না ফিরলেও কোনও চিকিৎসক ডাকা হয়নি। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। তারাই শুভজিৎকে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রথমে পুলিশ জানতে পারে, নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মারধর করে আবাসিকদের ওষুধ খাওয়ানো হয়। অনেক ক্ষেত্রেই আবাসিক ওষুধ খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে তাদের এক প্রকার জোর করে হাত পা বেঁধে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এমনকী মারধরও করা হয়। যদিও শুভজিতের ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতℱদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।