সম্প্ꦇরতি রাজ্যে একের পর এক ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেই আবহে এবার দিনের পর দিন ধরে কিশোরী মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযোগ, সেই সুযোগেই যৌন নির্যাতন করে আসছিল সৎ বাবা। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির দিদা থানায় অভিযোগ জানাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, সব কিছু জানার পরেও চুপ ছিলেন মেয়েটির মা। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশা🎐লবাড়ি ব্লকে।
আরও পড়ুন: শিল𝓰িগুড়িতে মন্দির চত্বর থেকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েജ ধর্ষণ, ধৃত চালক
জানা গিয়েছে, প্রথম পক্ষের স্বামীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন নির্যাতিতার মা। প্রায় পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।এদিকে অভিযুক্তরও এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তারা দুজনেই দিল্লিতে কাজ করেন। তবে অভিযুক্ত দ্বিতীয় বিয়ে করলেও প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে বসবাস করে। দিল্লিতে কাজ করেন নির্যাতিতার মা। তবে নির্যাতিতা থাকে তার দিদার কাছে। এদিকে, সৎ বাবা মাঝেমধ্যেই তার খোঁজ খবর নিতে𝐆 শ্বশুরবাড়ি যেত বলে অভিযোগ। আর সেই ফাঁকেই তাকে🐬 যৌন নির্যাতন করত অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর সময় অভিযুক্ত সৎ মেয়ের খোঁজখবর নিতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল। সেই সময় তাকে যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত। তখন বিষয়টি ধরে ফেলেন তার শাশুড়ি অর্থা𒐪ৎ নির্যাতিতার দিদা। তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদꦰ করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, মেয়েকে বিষয়টি জানান নির্যাতিতার দিদা। কিন্তু, মেয়ে চুপ থাকতে বলেন। এমনকী থানা পুলিশ করতেও নিষেধ করেন। সেই সময় তিনি তখন চুপ থেকে যান। কিন্তু, সম্প্রতি আবার একই কাণ্ড করে সৎ বাবা। তখন চুপ থাকতে না পেরে এক প্র✃তিবেশীকে বিষয়টি জানান নির্যাতিতার দিদা। এরপর প্রতিবেশী এক যুবকের সাহায্যে তিনি থানায় গিয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয়। ধরা পড়ার ভয়ে অভিযুক্ত শৌচাগারের লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, এরকম জঘন্য কাজের জন্য অভিযুক্তর ফাঁসি হওয়া উচিত। নির্যাতিতার দিদার অভিযোগ, অনেক দিন ধরে মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছ✃িল জামাই। মেয়েকে তিনি বলেছিলেন। কিন্তু, মেয়ে পুলিশে যেতে আপত্তি জানিয়েছিল।