পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জাল নোট ছাপানোর কারখানার হদিশ মিলল। এই ঘটনায় তিনজনকে জালনোট-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, খাগড়াগড় মাঠপাড়ার বাদশাহী𓆉 রোডে বাড়িভাড়া নিয়ে ৫০০ টাকার জাল নোট ছাপাত ধৃতরা। তাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে জালনোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের নিজেদের হেফাজতে আবেদন জানাবে পুলিশ।
যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম হল দীপঙ্কর চক্রবর্তী, বিপুল সরকার এবং গোপাল সিং। এর মধ্যে প্রথমজন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা এবং বাকি দু'জন বর্ধমানের বাসিন্দা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্রের মূল পাণ্ডা ছিল দীপঙ্কর। সেই জালনোট তৈরির জন্য বর্ধমানের ওই কারখানায় কাগজ নিয়ে যেত দীপঙ্কর। জালনোট তৈরির পর তা বহু মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হত বাজারে। ১ হাজার টাকার আসল নোটের বিনিময়ে ৩ হাজার টাকার জাল নোট বিক্রি করা হতো। আর সেই জালনোট ছড়িয়ে দেওয়া হতো বর্ধমান শহর এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বাজারে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে গত ছয় মাস ধরে সেখানে জালনোট চক্র চলছিল। জাল নোট তৈরির জন্য তারা যে ঘর ভাডℱ়া নিয়েছিল সেই ঘরটি ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের ভাড়া নেওয়া ঘর থেকে কিছুটা দূরౠে ছিল।
এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের কাছে জাল নোট তৈরির খবর আসছিল। তবে কোথা থেকে জাল নোট বাজারে ছড়ানো হচ্ছিল তা প্রথমে আমরা জানতে পারিনি। পরে তদন্তে নেমে ꦫআমরা জালনোটের কারখবর সন্ধান পাই। অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বিভিন্ন হাতের মাধ্যমে এই জাল নোট বাজারে যেত। সেক্ষেত্রে আরও অনেকে এই জাল নোট চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। কারা জাল নোট বাজারে সরবরাহ করত এবং কাদের সেগুলি বিক্রি করা হত, তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।