বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক এসআইএ’র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি তিনি বারাকপুর কমিশনারেটের স্পেশাল ব্রাঞ্চে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকি༺ৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের নাম শুভেন্দু কুমার ঘোষ (৫৩)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আউশগ্🍷রাম থানার সাব–ইন্সপেক্টর আত্♑মহত্যা করলেন, পুলিশ ব্যারাকে তুমুল আলোড়ন
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট থেকে এক মাস আগে তাঁকে বারাকপুর কমিশনারেটে বদলি করা হয়। তিনি কমিশনারেটের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন তি♉নি। পরিবারের দাবি, সেখানে বদলি হওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই এএসআই। এছাড়া, পরিবারের আরও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। তাছাড়া, চাকরির চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না বলেই তাঁর পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্য। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
যদিও কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জꦍানতে পারেননি তদন্তকারীরা। ঘটানাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তবে ছেলে রুদ্রপ্রসাদ ঘোষের দাবি, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর বাবা। তিনি বলেন, ‘বাবা এর আগে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে ছিলেন। এরপর আবার তিনি সেখানে বদলি হয়েছিলেন। সেখানে এক বছর থাকার পর বারাকপুরে বদলি হয়ে আসেন। তারপর থেকেই চিন্তার মধ্যে ছিলেন। কাজের চাপ থাকার পাশাপাশি বাবার শরীরের অবস্থা ভালো ছিল না। কানে খুব ব্যাথা ছিল। আমারও রোগ হয়েছে। এইসব নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বাবা। তবে এর আগে খড়দহ, জগদ্দল, রহড়া প্রভৃতি থানায় বাবা ছিলেন। কিন্তু, এত🅰দিন এত চাপে কোনওদিন দেখিনি বাবাকে।’
তিনি জানান, অল্পতেই বেশি চাপ নিয়ে ফেলতেন তাঁর বাবা। তবে তিনি যে এরকম কাণ্ড করে ফেলবেন তা তাঁ⛎রা কেউ ভাবতে পারেননি। যদিও পরিবারের দাবি, শুভেন্দু বাবুকে দেখে বোঝা যায়নি যে তিনি মানসিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন কি না। তাঁরা ছেলে জানান, ‘বাবাকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু বাবা আমাকে বলেছিলেন আমি ভালো আছি। এরকম করবে জানলে আমি বাড়ি থেকে বের হতাম না।’ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে। প্রাথমিকভাবে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। কী কারণে আত্মহত্যা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।