কোনোটির রঙ লাল, আবার কোনটির রঙ সবুজ। এক নজরে দেখলে সেগুলিকে রঙিন বলের মতোই মনে হবꩲে। কারণ সেগুলির আকারও বলের মতো গোল। সেই ভেবে হয়তো অনেকেই ভুল করতে পারেন। কিন্তু, সাবধান! আসলে সেগুলি বল নয়, সেগুলি হল বোমা। এরকমই রঙিন বোমা দেখে কার্যত অবাক হয়েছেন পুলিশ কর্মীরাও। মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানার মহেশপুর অঞ্চলের শিবতলা গ্রামের একটি ফাঁকা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এরকমই রঙিন তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৩০ টি বোমা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে উদ্ধার সাতটি তাজা বোমা, তৃণমূল কর্মীকে খতম করতেই কি রাখা হয়েছিল?
ভোট পর্ব থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। সেরকমই ফারাক্কার ওই গ্রামেও রবিবার গভীর রাতে অভিযান চলায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি বালতিতে প্রায় ২৫টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও বাড়ির পাশের জঙ্গলে একটি ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগ থেকেও ৫টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির মশলা এবং সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ফারাক্কা থানার পুলিশের সঙ্গে এদিন যৌথ অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই পরিমাণ বোমা উদ্ধার হওয়ার পরেই ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ফরাক্কা থানার পুলিশ। বোমগুলি নিস্ক্রিয় করার জন্য বম্ব স্কোয়াড টিমকে খবর দেয় ফরাক্কা থানার পুলিশ। কী কারণে বোমাগুলি 🦄সেখানে রাখা হয়েছিল ও বোমা বাঁধা হয়েছিল তার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ। কে বা কারা এই ধরণের বোমা বানালো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,🍰 বোমাগুলি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে ফরাক্কা ব্যারেজে কর্তব্যরত সিআরপিএফ কর্মীদের খবর দেয়। তারাই পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে সেখানে তল্লাℱশি অভিযান চালায়। তবে বোমাগুলি বিভিন্ন রঙের হওয়ায় তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। কী কারণে বোমাগুলি রঙিন করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাধারণত রঙিন বোমা উদ্ধারের খবর অতীতে পাওয়া যায়নি। ফলে এদিন বিভিন্ন রঙের বোমা দেখতে ভিড় জমে উৎসাহী জনতার। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রঙিন বোমাগুলি দেখতে বেশ আকর্ষনীয় হওয়ায় বাচ্চারা তা দেখে আকৃষ্ট হতে পারে। ফলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে পারে। তাই পুলিশের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য তৃণমূল কর্মীরাই সেখানে বোমা রেখেছেন। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।