হেলমেট ছিল না স্কুটি চালকের। তা দেখেই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার দায়ে তার স্কুটি আটকে ছিল ট্রাফিক পুলিশ। আর পুলিশকে দেখেই স্কুটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে গেল চালক। কিন্তু, কেন এমন করলেন স্কুটি চালক? আসলে ওই স্কুটিতে ছিল প্রচুর পরিমাণে মাদক। তল্লাশি চালাতেই স্কুটি থেকে বেরি𓆉য়ে আসে প্রচুর পরিমাণে মাদক গাঁজা এবং ফেনসিডিল। এ যেন কেঁচো খু෴ড়তে বেড়িয়ে এল কেউটে। মঙ্গলবার রাতে বসিরহাটের হরিশপুরে টাকি রোডে নাকা চেকিংয়ের সময় এমনভাবেই গাঁজা, মাদক এবং ফেনসিডিল উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এই সমস্ত মাদকদ্রব্য সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে ছিল।
মঙ্গলবার রাতে নিয়মমাফিক নাকা চেকিং চালাচ্ছিল ট্রাফিক পুলিশ। নিয়ম মতো নাকা চেকিংয়ে ট্রাফিক আইন মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি সমস্ত গা♎ড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সময় ওই ব্যক্তি স্কুটি আটকায় পুলিশ। তার মাথাౠয় হেলমেট ছিল না দেখে প্রথমে তাকে দাঁড় করান কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। জানা যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ওই ব্যক্তি হঠাৎই দৌড়ে পালিয়ে যান। প্রথমে এই ব্যক্তির পালানোর কারণ বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ। তবে তার স্কুটি তল্লাশি চালাতেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে পুলিশের কাছে।
স্কুটির হ্যান্ডেল একটি ব্যাগ ঝোলানো ছিল। ওই ব্যাগ থেকে ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া, স্কুটির ডিকিতে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল ওষুধ। প্রায় ৭৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সেগুলি বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। ট্রাফিক পুলিশের বডি ক্যামেরায় ওই ব্যক্তির ছবি ধরা পড়ꦜেছে। ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন থানায় ওই ব্যক্তির ছবি পাঠানো হয়েছে। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।