হাত, পা বাঁধা অবস্থায় ১০৭ বছরের এক বৃদ্ধের ঝলসানো দেহ উদ্ধার হল। তাকে খুন করা হয় বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের নেদাসপুর থানার রানিচক এলাকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বৃদ্ধের পরনের ধুতি দিয়েই খুঁটির সঙ্গে বাঁধা ছিল তার কোমর এবং হাত, পা। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি কাগজের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে ‘বেইমানির শাস্তি’। গ্রামবাসীরা যখন ওই বৃদ্ধকে দেখতে পান তখন তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বৃদꦏ্ধের নাম নন্দ মন্ডল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দ মন্ডল এলাকারই বাসিন্দা। আজ সকালে একটি পরিত্যক্ত 🌟ছাউনি থেকে হাত, পা বাঁধা এবং দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে দাসপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধের মৃতদেহের পাশ থেকে নেশার দ্রব্যও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে খুন বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। তবে কী কারণে এই খুন তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধের মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এই কাগজের টুকরোকে ক্লু হিসেবে ধরেই অপরাধীর সন্ধান করছে পুলিশ।
এই ঘটনার সঙ্গে পুরনো শত্রুতা জড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। ফলে তার সঙ্গে কার শত্রুতা রয়েছে তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকেও বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনকার মতো আজও ভোরে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তারপর সকালে তার মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কেনই বা বৃদ্ধকে খুন করা হল? সেই সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্🐲ট পেলে তদন্তে কিছুটা সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।