মালদার কালিয়াচকে এক💟ই পরিবারের ৪ জনের খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি জেরায় পরিবারের ছোট ছেলে জানিয়েছে, মা-বাবা-সহ পরিবারের অন্যান্যদের খুনের পর দেহ গায়েব করতে কফিন বানিয়েছিল সে। এমনকী সেই কফিনে জীবিত অবস্থায় বাবা-মা-কে ঢুকিয়ে মুখে সেলোটেপ সেঁটে দেয় সে।
মা-বাবা-বোন ও ঠাকুমাকে খুনের অভিযোগে শুক্রবার রাতে কালিয়াচকের শোলপাই গ্রাম থেকে আসিফ মহম্মদ নামে ১৮ বছরের ওই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তক꧟ারীরা জানিয়েছেন, জেরায় একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন আসিফ ও তౠার দাদা। যা শুনে শিউরে উঠছেন তদন্তকারীরাও।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এলাকায় বেশ বিত্তবান বলে পরিচিত আসিফের পরিবার। কিন্তু মাস ছয়েক আগে বাড়ি ও লাগোয়া দেড় বিঘা জমি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত জমি-জায়গা বিক্রি করে দেন আসিফের বাবা। এর পর বাড়ির ভিতরে তৈরি করা হয় একটি গোডাউন। এরই মধ্যে এলাকা ছাড়ে আসিফের দাদা। কলকাতায় চলে যায় সে। কিন্তু এসব ঘটনাক্রমের কারণ কী তা জানতে পারেননি প্রতিবেশীরা। কারণ এলাকায় কারও সঙ্গে তেমন কথাই বলতেন না পরিবারের সদস্যরা। আসিফ থাকত বাড়ির দোতলায় নিজে🅷র ঘরে। সেখান থেকে খুব বেশি বেরতোও না সে। এমনকী ওই ঘরে বাড়ির লোকেদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আসিফের দাদা তাঁদের জানান। মাস কয়েক আগে বাড়িতে কয়েকটি কফ♏িন বানায় আসিফ। সেই কফিনে বাবা-মা-কে ঢুকিয়ে সেলোটেপ পেঁচিয়ে দেয় সে। সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন তিনি। এর পর তাঁকে খুনের হুমকি দে🎃য় আসিফ। ভয়ে পালিয়ে কলকাতা চলে যান আসিফের দাদা।
আসিফের বাড়িতে মোট ২৬টি সিসিটিভি ক্যামেরার হদিশ পেয়েছেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু এত সিসিটিভি ক্যামেরা কেন? প্রতিবে♌শীদ♍ের আসিফের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল অত্যাধুনিক অ্যাপ তৈরির জন্য এতগুলি সিসিটিভি লাগিয়েছিল সে।
শুক্রবার শোলপাই গ্রামের বাড়ির মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছে𒉰 ৪ জনের দেহাবশেষ। কী করে তাদের খুন করা হয়েছে জানতে সেগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে ফরেন্সিক পরীক্ষা꧑ও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে দেখা মিলছিল না পরিবারের কারও। সবাই ভেবেছিলেন কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে পরিবারটি। প্রতিবেশীদের তেমনই জানিয়েছিল আসিফ। কিন্তু দিনকয়েক আগে আসিফের দাদা বাড়ি এসে জানতে পারেন খোঁজ মিলছে না মা-বাবা-ℱর এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পুলিশের অনুমান, 🥀অনলাইন দুষ্কৃতীচক্রের সঙ্গে যুক্ত আসিফ মহম্মদ। তার মানসিক স্থিতিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।