হাথরাস কাণ্ডে অভিযুক্ꦯতদের প্রকাশ্যে গুলি করে মারার নিদান দিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের বাছুরডোবায় চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। একজন আইন প্রণেতা কী করে আইন হাতে তুলে নেওয়ায় প্ররোচনা দিতে পারেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
হাথরাসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় ফুটছে উত্তর প্রদেশ। তার আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। দলমত নির্বিশেষে ঘটনার নিন্দা♎ করে দোষীদের দ্রুত কঠোর শাস্তি দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু অত অপেক্ষা সয় না লকেটের। তার চাই হাতেগরম বিচার। তাই দোষীদের খুঁজে বার করে প্রকাশ্যে গুলি করে মারার নিদান দিলেন তিনি।
এদিন লকেট বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ বলুন, রাজস্থান বলুন কি পশ্চিমবঙ্গ বলুন – মহিলাদের উপর এহেন অত্যাচারে দোষীদের এনকাউন্টার করা উচিত। কোনও রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত আমি বুঝি না। মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে দোষীদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রাস্তার মাঝখানে দাঁড় ক🌼রিয়ে সবার সামনে ওদের গুলি করা উচিত।’
প্রশ্ন হল, দোষীকে খুঁজে বার করে গুলি করে মেরে দেওয়াই যদি বিচারের পদ্ধতি হয় তাহলে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে সংসদে কেন পাঠাল মানুষ। আবেগ প্রবণ হয়ে আইন প্রণেতাই যদি আইন হাতে তুলে নেওয়ায় প🗹্ররোচনা দেন, তাহলে স𓆉াধারণ মানুষের আর দোষ কী?
এদিন লকেট বলেন, জঙ্গলমহলে কোনও উন্নয়ন করেনি তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে তার ফল তা𒁃রা টের পেয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও তা বুঝতে পারবে তারা।