কল্যাণী জেএনএমে ডাক্তারিতে ভর্তির নামে প্রতারণার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই চক্রের মূল পান্ডা আদতে বিহারের বাসিন্দা। তার সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরেই কল্যাণী থানার পুলিশের একটি দল রওনা দিয়েছে𝓀 বিহারে। অন্যদিকে, আরও এক জনের হদিস পেয়ে🍃ছে পুলিশ, যার বাড়ি কলকাতার ভবানীপুরে। তারপরই কল্যাণী থানার পুলিশের আরেকটি দল পৌঁছেছে ভবানীপুরে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সৌরভ দাস।
আরও পড়ুন: JNM হাসপাতালে M🅷RI পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠিত
গত বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে জেএনএমে ডাক্তারিতে ভর্তির নামে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের নাম হল মানালি দাস, সঞ্জীব ঝাঁ এবং রত্না দাস। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মালানি দাসের স্বামী কলকাতা মেট্রো রেলꦛের কর্মী। ঘটনায় প্রথমে পুলিশের ধারণা ছিল সৌরভ দাস এই চক্রের পান্ডা। কিন্তু, ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই চক্রের পান্ডা আসলে বিহারের বাসিন্দা। সেই যাবতীয় নথি জল করত। তার কথাতেই সঞ্জীব বিহার থেকে কলকাতায় এসে সৌরভের সঙ্গে পরিচয় করে। প্রথমে সঞ্জীব পুলিশের কাছে নিজেকে অনুপম সিংহ বলে দাবি করেছিল। তার কাছ থেকে আধার কার্ড পাওয়া যায় তাতে অনুপম সিংহ নাম লেখা ছিল। তবে সেই ছবির সঙ্গে তার মুখের সঙ্গে মিল নেই। ফলে পুলিশের অনুমান, সৌরভ দাস এবং অনুপম সিংহ একই ব্যক্তি হতে পারে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সৌরভ দাস কলকাতায় এই সমস্ত কাজ দেখাশোনা করত।
এবিষয়ে নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, এখনও এই ঘটনার তদন্ত চলছে। আজ মঙ্গলবার আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সৌরভের বাড়ি হল কলকাতার ভবানীপুরে। সে বিষয়টি🔯 জানার পরেই ভবানীপুরে কল্যাণী পুলিশের একটি দল রওনা দেয়। এবার সৌরভকে গ্রেফতার করে এই প্রতারণা সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় ধৃত মানালি দাস এবং রত্না দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রত্না বিবাহ বিচ্ছিন্ন। সে বিভিন্ন ধরনের কাজ করত। কখনও আয়ার কাজ করত আবার কখনও ধূপ বিক্রির কাজ করত। সেই সূত্রেই সৌরভের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই মহিলা নিজের চাকরির জন্য দালালদের খপ্পরে পড়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতছাড়া করেছিলেন। তারপর সেই টাকা তুলতে সৌরভের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যোগ দেয়। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য ওই মহিলা ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। অন্যদিকে, মানালির স্বামী কলকাতা মেট্রো রেলের কর্মী হলেও সে একটি বীমা সংস্থায় কাজ করত বলে পুꦆলিশকে জানিয়েছে। মানালি এবং রত্না দুজনেই কালীঘাটের বাসিন্দা।