বিষ দিয়ে খুন করা হয়েছে হাঁস। তাই হাঁসের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এমন ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার সিংহജীবাগানে। ওই এলাকার এক বাসিন্দার তিনটি হাঁসকে বিষ মিশিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হাঁসগুলির দেহের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।🐷 তবে জেলার পশু হাসপাতালে সেই সুবিধা না থাকায় হাঁসের দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে গ্যাঁ🃏জলা, বীরꦅভূমে পরপর ২ দিনে মৃত্যু ১৬ কুকুরের, বিষ দিয়ে খুন?
জানা গিয়েছে, হাঁসগুলির মালিকের নাম ইতি বিশ্বাস। তাঁর স্বামীর হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। আবার তাদের একমাত্র ছেলের ব্লাড ক্যানসার। তিনি কো✱নওভাবে ঝালমুড়ি বিক্রি করে এবং হাঁসের ডিম বিক্রি করে সংসার চালান। অতি কষ্টের সংসারে তাদের পরিবারে একমাত্র সুস্থ সদস্য বলতে ছিল এই হাঁসগুলি। সব মিলিয়ে তাঁর ১০টি হাঁস রয়েছে। হাঁসের ডিম থেকে যা আয় হয় তা সংসার চালানোর কাজে তিনি ব্যবহার করেন। কিন্তু, শনিবার হঠাৎ করে দেখেন ৪টি হাঁস ছটফট করছে। তারপর দেখেন তাদের পাশে একটি মুড়ির প্যাকেট পড়ে রয়েছে। সন্দেহ হতেই তিনি মুড়ির প্যাকেট শুঁকে বিষের মতো ঝাঁঝালো গন্ধ পান। এরপর অবশ্য হাঁসগুলির মৃত্যু হয়। ইতির অভিযোগ, কেউ শত্রুতা করার জন্যই মুড়ির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হাঁসগুলিকে মেরে ফেলেছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই দেহ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য তিনি হাঁসগুলি দেহ বরফ চাপা দিয়ে রাখেন। পরে তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে অভিযোগ জানান। তিনি পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশের কাছে যান ইতি দেবী। পুলিশ তাঁকে পশু হাসপাতালে যেতে বলে। কিন্তু সেখানে গেলেও আবার পুলিশের অভিযোগ পত্র ﷽লাগবে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়। এভাবে কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর বিষয়টি হুগলি জেলা💦 পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তীর নজরে আসে। এরপর তিনি ওই মহিলাকে নিয়ে থানায় যান।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রাণী সম্পদ দফতরের কাছ থেকে হাঁসগুলি পালনের জন্য নিয়েছিলেন। ইতির অনুমান, এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের ঝামেলা চলছে। তারাই সে ক্ষেত্রে বিষ দিয়ে হাঁসগুলিকে মেরে ফেলতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে হাঁসগুলিকে আদৌও বিষ দেওয়া হয়েছে কিনা সꦇে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত হতে চাইছেন। তার জন্যই ময়নাতদন্ত করানোর পরামর্শ দেয় পুলিশ। তবে স্থানীয় পশু হাসপাতালে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁসগুলিকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। নির্মাল্য বাবু জানান, হাঁসগুলির দেহের ময়নাতদন্তের জন্য মহিলা তিনদিন ধরে করে বেরিয়েছেন। তাই ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি কলকাতার বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।