গুজব রুখতে চলছে প্রচার। আশ্বস্ত করছে প্রশাসন। তারপরও ব্রয়লার মুরগিতে করোনাভা🌄ইরাসের সংক্রমণ নিয়ে গুজবের জেরে ক্রমশ পোলট্রি শিল্পের ক্ষতির অঙ্কটা চড়চড়িয়ে বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গত কয়েকদিনে ক্ষতির মাত্রা ৩০০ কোটির মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায়, পোল্ট্রির মুরগির মাংস বা ডিম খেলে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হবে। সেই আতঙ্কের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে মুরগির চাহিদ🦄া তলানিতে ঠেকেছে। পাইকারির বাজারে প্রতি কেজি বয়লার মুরগির দাম ৫০-৫৫ টাকায় নেমে গিয়েছে। দাম কমেছে খুচরো বাজারেও। তারপরও মুরগির মাংস, ডিমের দিকে ঝুঁকছে না আমজনতা। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে ক্ষতির বহর বাড়ছে।
পোলট্রি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বছর দু’য়েক আগে ভাগাড়-কাণ্ডের পর একইরকম পরিস্থিতি হয়েছিল। মুরগির মাংসের চাহিদা একলাফে অনেকটা পড়ে গিয়েছিল। তার জেরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছিল পোলট্রি শিল্প। করোনা গুজব যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সেই অঙ্কটাও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে জীব൲ন্ত ব্রয়লার মুরগির বি𒁃ক্রির পরিমাণ এক ধাক্কায় ৪০ শতাংশ কমেছে।
অথচ পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের তরফে জানা⭕নো হয়েছে,মুরগির সঙ্গে যে করোনাভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই, তা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক। তা সত্ত্বেও গুজবে লা🐭গাম টানা যাচ্ছে না। সেজন্য রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে 🎶নয়, অন্য রাজ্যেও মুরগিতে করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। তা কাটাতে এদিন তেলাঙ্গানার মন্ত্রীরা একটি অনুষ্ঠানে ব্রয়লারের মুরগির মা🔯ংস খান।